উৎপল সেনগুপ্ত:-স্ত্রীঃ- ছিঃ! ছিঃ! ভীমরতি হলেই এমনটা হয়। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না একটা বয়স্ক মানুষ তার ওপর যার এত নামধাম মান সম্মান সেই মানুষটা এমন কাণ্ড করে কি করে?
স্বামীঃ- এমন কাণ্ড মানে?
স্ত্রীঃ- ওই অল্প বয়সী ধিঙ্গি মেয়ের সাথে ফষ্টি নষ্টী।
স্বামীঃ- আমিও প্রথমে সেটাই ভেবেছি পরে দেখলাম তরকারির সমস্যা।
স্ত্রীঃ- তরকারির সমস্যা মানে? এর সাথে তরকারির কি সম্পর্ক বুঝলাম না।
স্বামীঃ- ওসব তোমার মাথাতে যে ঢুকবে না সেটাই স্বাভাবিক।
স্ত্রীঃ- তুমি বলতে চাইছ আমি মাথা মোটা?
স্বামীঃ- না তা নয়। তবে এই সব জটিল তত্ত্ব সহজে প্রবেশ করা মুশকিল।
স্ত্রীঃ- ও সব হেঁয়ালি না করে তরকারির ব্যাপারটা কি প্লীজ বলো।
স্বামীঃ- আচ্ছা বলো তো একজন মানুষ যদি দীর্ঘদিন আলু সেদ্ধ আর ভাত খায় তারপর যদি হঠাৎ করে দারুণ করে বানানো কচি পাঁঠার মাংস পেতে শুরু করে সে কি করবে?
স্ত্রীঃ- সে তো কব্জি ঢুবিয়ে গলা পর্যন্ত খাবে।
স্বামীঃ- তারপর?
স্ত্রীঃ- তারপর আবার কি
স্বামীঃ- তারপর অনভ্যাস এর কারণে গ্যাস অম্বল বদহজম হবে।
স্ত্রীঃ- তা হতে পারে।
স্বামীঃ- হতে পারে না। এখানেও তাই হয়েছে।
স্ত্রীঃ- ঠিক বুঝলাম না।
স্বামীঃ- বনে জঙ্গলে হওয়া কচুর লতিকে ভালো করে তেল মশলা দিয়ে রান্না করলে যেমন স্বাদ বেড়ে যায়। তেমনই এই দরকচা বয়সে এই রকম একটা ধিঙ্গি পেলে যে কোনও পুরুষের ধরাকে সরা জ্ঞান হবেই। সে যা নয় তাই করবে।
স্ত্রীঃ- বুঝলাম। তারমানে তুমিও কচি পাঁঠা পেলে কব্জি ঢুবিয়ে খাবে?
স্বামীঃ- তুমি তো ভালো করেই জানো আমার কোলেস্টেরল। ওসব পেলেও খাই না।
স্ত্রীঃ- ওরে আমার সাধু পুরুষ রে। সব পুরুষদের আমার জানা আছে।
স্বামীঃ- মানে?
স্ত্রীঃ- মানে আবার কি ওই ছোঁক ছোঁক করা স্বভাব।
স্বামীঃ- আমার মতন নিপাট ভদ্রলোক সম্বন্ধে এমন কথা বলতে পারলে?
স্ত্রীঃ- ওই পেট মোটা বয়স্ক লোকও এক সময়ে ভদ্রলোক ছিল। ধরা পড়া না পর্যন্ত তোমরা সবাই ভদ্রলোক তা আমি জানি। তবে একটা কথা শুনে রাখো ডুবে ডুবে জল খাওয়ার কথা যদি ঘুণাক্ষরেও কানে আসে কচি মাংস কি করে পেট থেকে বের করে আনতে হয় তা আমার জানা আছে।
স্বামীঃ – ধুর বাবা সক্কাল সক্কাল যা তা শুরু করলে। যাই বাজার যাই।
স্ত্রীঃ- হ্যাঁ তাই যাও।
সৌজন্যে – প্রতিলিপি