প্রদীপ কুমার মাইতি:-শিক্ষা দুর্নীতির মতো এত বড় ইস্যু হাতে পেয়েও, সরকারকে হেলিয়ে দেওয়ার মতো আন্দোলন করতে পারছে না বিজেপি। এর পরেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেন পশ্চিমবঙ্গের একটা বড় অংশের নেতা,কর্মীর নিষ্ক্রিয় মনোভাব এবং দল পরিচালনায় সমন্বয়ের অভাব।তার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ডেকে কড়া বার্তা দেন বিজেপির প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ।
অমিত শাহের বার্তা পাওয়ার পরেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে স্বাক্ষাত করলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে এই একান্ত স্বাক্ষাতের আনুষ্ঠানিকতার উপলক্ষ দিলীপের জন্মদিন হলেও, দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর একান্ত বৈঠকেকে বিজেপির রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা দূর্নীতি ইস্যুতে আন্দোলন যে সন্তোষজনক হচ্ছে না, সম্প্রতি রাজ্য নেতৃত্বকে সেই বার্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। গত ৩১ জুলাই রাত ৮ টায় দলের জেলা সভাপতি ও মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, জেলায় জেলায় এই দূ্র্নীতি ইস্যুতে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে আরও জোরদার করতে রাজ্যের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও ডাকতে হবে। ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।