পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভা এলাকার ১২নং ওয়ার্ডে নয়নজলির উপরে স্টল গড়ে উঠছে।তৃনমূল নেতাদের ভয়ে প্রকাশ্যে সাধারন মানুষ মুখ না খুললেও ক্ষোভ চরম আকার ধারন করেছে।অথচ সব জেনেও নির্বিকার প্রশাসন।বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলিও এই নিয়ে স্পিকটি নট ।ফলে এই অপরাধের বিচার কোথাও পাওয়া যাবে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারন মানুষ।
কাঁথি পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড থেকে দীর্ঘদিন তৃনমূলের টিকিটে নির্বাচিত হচ্ছেন সিদ্ধার্থ মাইতি।তিনি একসময় চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব সামলেছেন।বর্তমানে এই ওয়ার্ড থেকে তাঁর স্ত্রী শাসক দলের নির্বাচিত কাউন্সিলার।স্বাভাবিক ভাবে সিদ্ধার্থ বাবু বা এলাকার কাউন্সিলারের এই বিষয়ে নিয়ে কি অবস্থান সেই প্রশ্ন উঠছে।
জুনপুট থেকে শুটকী মাছ রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয় । এই রাস্তার উপর দিয়েই ট্রাকে বোঝাই টন টন শুটকী মাছ রপ্তানী হয় ।তাই সম্প্রতী জুনপুট মোড়ের রাস্তা ও কালভার্ট চওড়া হয়েছে।তাই নয়নজলি ও রাস্তা দখল করে রাখা অস্থায়ী গুমটি গুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।অভিযোগ সেই গুমটি গুলি সহ আরো কয়েকটি নতুন গুমটি এই রাস্তায় বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।তাই নব নির্মিত কালভার্টের দুই পাশে নয়নজলি দখল করে তার উপর থেকে কংক্রিটের পিলার তুলে গুমটি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।অভিযোগ এর জন্যে সিডিউল অনুযায়ী কালভার্ট গুলির কাজ করেনি ঠিকাদার।
নয়নজলি দখল করে গুমটি বসানোর এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবে পূর্ত দফতর ও কাঁথি পৌরসভার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে।সেচ দফতরও কেন চোখ বন্ধ করে রেখেছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন কাঁথি শহরের মানুষেরা।
কাঁথি শহরের আনাচেকানাচেতে শোনা যায় অস্থায়ী গুমটি বসিয়ে একটা চক্র উপার্জন করে । কাঁথির পরিবেশ ও ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ঠিক রাখতে জুনপুট মোড়ে নয়নজলি দখলকারী অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যাবস্থা নেবে কি ?