Select Language

[gtranslate]
২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

।। জন্মদিনের উপহার ।।

অঙ্কিতা চ্যাটার্জি

“মা আজকে আমার বাড়ি ফিরতে একটু রাত হবে।”
“আজকে দেরি করবি? আজ যে আমার ছেলের অফ ডে তোরা দুজনে নাহয় একটু ঘুরে আসতিস।আমি না হয় আজকে পুপে কে খাইয়ে দিতাম ঘুম পাড়িয়ে দিতাম।”
“উফফ্ মা তোমার এই সব বাজে কথা এখন রাখো তো।আমার অফিসে আজ একটা জরুরি মিটিং সেটা অ্যাটেন্ড না করে আমি নাকি এখন ওনার ছেলের সাথে ঘুরতে যাবো। আজেবাজে কাজে সময় নষ্ট করার মতন সময় আমার নেই মা।আমি এলাম।”
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে শর্মির চলে যাওয়া দেখলো কমলা দেবী। আজকাল শর্মি আর উজানের সম্পর্কটা যেন কেমন ছানাকাটা হয়ে গেছে।কেউই কাউকে সময় দেয় না সেরকম। আজকাল তো আবার দুজনে দুঘরে শুয়ে থাকে রাত্রে। উজান ওদের ঘরে আর শর্মি পুপের সাথে পুপের ঘরে। পুপে ওদের একমাত্র ছেলে সাত বছর বয়স ওর। কমলা দেবী মনে মনে ভাবেন অথচ আগে এই বাড়ির ছবিটা ছিলো একেবারে অন্যরকম। আজ থেকে দশ বছর আগে কমলা দেবী নিজেই পছন্দ করে শর্মি কে এই বাড়ির বৌ করে নিয়ে আসেন।ভারী মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে ছিলো শর্মি। খুব সহজেই মা আর ছেলের সংসারে নিজের জায়গাটা বেশ মজবুত করে ফেলেছিলো।কমলা দেবীকে সময় মতন প্রতি মাসে ডাক্তার দেখানো,সময়ে সময়ে ওষুধ খাওয়ানো সব এক হাতে সামলাতো।সংসারের কোনো কাজে আর কমলা দেবীকে হাত লাগাতেও হত না। এতো কিছু করেও মুখে একটু ক্লান্তির ছাপ ছিলো না শর্মির,বরং সদাই হাসির ছোঁয়া লেগেই থাকতো মুখে।এর ঠিক দুবছর পরে শর্মির কোল জুড়ে এলো পুপে। কমলা দেবীর সংসার সেদিন একেবারে পরিপূর্ণ হলো। চার জনে মিলে খুব আনন্দ করেই দিন কাটতো।পুপে তার ছোট ছোট দুষ্টুমি দিয়ে বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখতো। মাঝে মাঝে ওরা চার জনে মিলে বাইরে ঘুরতেও যেতো।কি যে আনন্দে কাটতো সেই দিন গুলো।পুপে যখন পাঁচ বছরে পড়লো তখন একদিন হঠাৎ শর্মি এসে কমলাদেবীকে বলে ” মা আমি অনলাইনে দেখছিলাম এই আমাদের ফ্ল্যাটের পাশে দু তিনটে যে কোম্পানি গুলো আছে সেখানে এখন অনেক ভ্যাকানসি আছে আমি কি একবার চেষ্টা করে দেখবো?”
“আরে এতে আবার বলার কি আছে।আমি তো কতদিন বলেছি যে কিছু একটা কাজ কর।তুই তো কোনোদিন সংসার ছেড়ে যেতে চাসনি তখন। যাক এবার তাহলে একটু সুবুদ্ধি হলো তোর।” শর্মি পড়াশোনাতে বরাবর ভালোই ছিলো।ওর রেজাল্ট ,স্মার্টনেস সব কিছুই কোম্পানির মালিকের নজর কেড়েছিল।এক বারেই চাকরিটা পাকা হয়ে যায়।এমনিতে ডিউটির টাইম খুব সুন্দর ছিলো শর্মির । সকাল 9টা থেকে বিকেল 4 টে। পুপে এমনিই ঠাকুমার নেওটা তাই পুপেকে সামলাতে খুব একটা কষ্ট হয়নি কমলা দেবীর। কিন্তু মাঝে মাঝে অফিসের কাজে এক দুদিনের জন্য শর্মিকে কলকাতার বাইরে যেতে হতো ঠিক যেমন মাঝে মাঝে উজানকেও যেতে হয়। কিন্তু বাড়ির ছেলের যাওয়া আর বাড়ির বৌ এর যাওয়ার মধ্যে বেশ একটা ফারাক আছে কিনা।তাই শর্মির বাইরে যাওয়া নিয়ে কমলাদেবী কিছু না বললেও উজান প্রায়ই আপত্তি জানাতো।শর্মি
প্রথম প্রথম কথা শুনলেও আর শুনতে পারে না। তখন থেকেই এই অশান্তির শুরু হয়।

” মা আমাকে দুদিনের জন্য একটু বর্ধমান যেতে হবে। অফিসের কাজে। সুবিমল স্যার ( কোম্পানির মালিক) যাবেন আমাদের সাথে।তুমি এই দুদিন পুপেকে একটু সামলে নিও।”
” সে তো মা আজ প্রায় দুবছর ধরেই করে যাচ্ছে। আজ আবার নতুন কি। কিন্তু এবারটা মা আর পারবে না।পুপের শরীরটা খারাপ মাঝে মাঝে জ্বর আসছে সেটা নিশ্চয় তুমি জানো নাকি কাজের চাপে সেটা জানারও সময় হয়নি। পুপের এই সময় ওর কাছে ওর মায়ের থাকাটা বেশি জরুরি তোমার ঐ অফিসের কাজের থেকে তাই নয় কি? আর তাছাড়া মায়েরও বয়স হয়েছে এখন এতো ধকল নিলে মায়ের শরীর খারাপ হতে পারে।”
“সরি উজান আমি এই প্রোগ্রামটা ক্যান্সেল করতে পারবো না। হ্যাঁ আমি জানি পুপের শরীর খুব একটা ভালো নেই কিন্তু জ্বর কাল থেকে আর আসেনি। আর মা যদি একা না পারে তাহলে তুমি ছুটি নিয়ে নাও দুদিন।তুমিও তো ওর বাবা।”
“কি আমি ছুটি নেবো?”
“কেনো তুমি ওর বাবা নও। আর এর আগে যখন আমি কাজ করতাম না তখনও পুপের অনেক বার শরীর খারাপ হয়েছিল তখন তো তুমি ওকে ওই অবস্থায় রেখে দিয়ে অফিসের টুরে গেছো।আমি তো একবারও তোমাকে আটকায়নি।তাহলে আমাকে তুমি এখন আটকাচ্ছ কেনো?”
“আমার সাথে তোমার তুলনা করছো কেনো? তোমার কাজ করাটা শখের জাস্ট লাইক টাইমপাস। আমার তা নয়।”
“আচ্ছা উজান কেন তোমার এই ধারণা হলো যে আমার কাজ করাটা শখের? তোমার কি মনে হয় আমি অফিসে গিয়ে চুপ করে বিশ্রাম নি। না উজান আমাকেও প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। হ্যাঁ এবার তুমি বলবে যে আমার রোজগারের কোনো টাকা সংসারে লাগে না ছেড়ে দিলেই হয়।তাহলে এবার থেকে নয় আমিও তোমার মতন প্রতি মাসে কটা টাকা এই সংসারে দিয়ে দেবো। তাহলে আর কোনো বাধা থাকবে না তাই তো।”
“ওরে থাম তোরা দুজনে। রোজ রোজ এই অশান্তি আমার আর ভালো লাগছে না। আমারো বয়স হচ্ছে সেটা মাথায় রাখ তোরা দুজনেই। ঠিক আছে শর্মি যা তুই আমি পুপেকে ঠিক সামলে নেবো।”
” না মা ও যাবে না কোথাও। কি ভাবো শর্মি নিজেকে আমি কিছু বুঝিনা সুবিমল স্যারের সাথে এতো বাইরে কিসের কাজ থাকে তোমার? আজ এখানে তো কাল রেস্টুরেন্ট প্রায়ই কোথাও না কোথাও যাওয়া লেগেই থাকে। এই বাড়ি তে থাকতে গেলে এসব একদম চলবে না। আমি কিন্তু……”
” থামো তুমি উজান যা মুখে আসছে বলে যেও না। নিজেকে আর কত নিচে নামাবে।”
” শর্মি….. “
“চিৎকার করো না উজান। ঠিক আছে আজকেই আমি পুপে কে নিয়ে এই বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছি।”
” না না শর্মি থাম। মাথা গরম করে কোনো সিদ্ধান্ত নিসনা। “
” না মা অনেক হয়েছে। উজানের সাথে থাকা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়।অপমান করার একটা লিমিট থাকে। “
” হ্যাঁ যাও যাও। এখন আমাকে আর ভালো লাগবে কেন? “
বিকেলে গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমেছে অনেক্ষন। কিন্তু ঠাকুর ঘরে গিয়ে সন্ধ্যে দেওয়ার কোনো ইচ্ছেই নেই কমলা দেবীর। সকালে ঘটনার পর পরই শর্মি পুপেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে। কমলা দেবীর চোখের জল ওদেরকে আটকাতে পারেনি। তার নিজের সাজানো গোছানো সংসারটা কেমন যেন টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে গেলো।এই ধকল নেওয়ার ক্ষমতা না তার মনের আছে না শরীরের কিন্তু সে কথা বোঝার মতন ক্ষমতা তার ছেলে বৌমা কারোরই নেই সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আর পুপে, সে তো কিছু বুঝলই না।
দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলো। আজ কমলাদেবীর জন্মদিন। প্রত্যেকবার উজান, শর্মি সক্কাল সক্কাল এত্তোবড়ো ফুলের স্তবক এনে তাকে দিতো আর তার সাথে শুরু হতো জন্মদিনের গান। ছোট্ট পুপে এসে তার দুগালে দুটো হামি খেয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতো। কিন্তু আজ কোথায় কি পুরো ছবিটাই যেন পাল্টে গেছে। কারোর বোধহয় এই দিনটার কথা মনেই নেই। একরাশ দুঃখ নিয়ে সকালের সমস্ত কাজ করতে শুরু করলেন কমলাদেবী।শর্মি চলে যাওয়ার পর থেকে উজান এখন সকাল হতেই তার ছোটবেলার বন্ধু প্রতীকের কাছে চলে যায়। প্রতীক হলো একজন ডিভোর্স স্পেশালিষ্ট।কমলাদেবী জানেন যে উজান আর প্রতীক অন্তরঙ্গ বন্ধু সেই ছোট্টো থেকেই কিছু সমস্যা হলে দুজনেই একে অন্যের কাছে ছুটে আসে। কিন্তু আজ যেন প্রতীকের কাছে যাওয়াও কমলাদেবীর কাছে অতি ভয়ের কারণ হয়ে উঠছে। এই এগারোটা সাড়ে এগারোটার দিক করে শর্মির ফোন এলো।ফোনের স্ক্রিনে শর্মির নাম দেখতেই কমলাদেবীর মুখে অজান্তেই হাসি ফুটে উঠলো মনে মনে ভাবলেন শর্মি ঠিক মনে রেখেছে তাই আজ ফোন করেছে। ছুটে গিয়ে ফোনটা ধরলেন
” হ্যালো… “
” মা, আজ তোমার ছেলে আমাকে প্রতীকদার বাড়ি ডেকেছে ঠিক সন্ধ্যে সাতটাই। আমি তো ঠিক চলে যাবো দয়া করে তোমার ছেলেকে বলো যেনো সে নিজে প্রতিবারের মতন লেট্ না করে। তুমিও আসছো তো? আমি ভাবছি পুপেটাকেও নিয়ে যাবো তাহলে তোমার সাথে দেখা হবে। রাখছি। সন্ধ্যেই দেখা হবে। “
ফোনটা কেটে গেলো।ফোনটা বিছানায় রেখে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন কমলাদেবী। তাহলে তিনি যা ভয় পেয়েছিলেন তাই হলো। শর্মির মনেই নেই যে আজ তার জন্মদিন। কেমন আছেন তিনি, সেটা জানারও প্রয়োজন বোধ করলো না সে।ডুকরে কেঁদে উঠলেন তিনি। তাহলে এবছর জন্মদিনে এই উপহার দেবে বলেই ঠিক করলো দুজনে? দুপুর বেলায় খেতে এসে উজান বলে গেছে সন্ধ্যে বেলায় রেডি হয়ে থাকতে প্রতীকের বাড়ি নিয়ে যাবে কিছু কাজ আছে।
দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে এলো। আর কিছুক্ষনের প্রতীক্ষা তারপরেই সব শেষ হয়ে যাবে। যথাসময়ে উজান অফিস থেকে ফিরে রেডি হয়ে মা কে নিয়ে রওনা দেয় প্রতীকের বাড়ির উদ্দেশ্যে। কমলাদেবী এর আগে বহুবার নানান অনুষ্ঠানে প্রতীকের বাড়ি এসেছেন। কিন্তু গাড়ি থেকে নেমে বাড়িটার দিকে তাকাতেই বুকটা ভয়ে কেঁপে উঠলো যেন। এই বাড়িতেই সব শেষ হয়ে যাবে তাহলে মনে মনে ভাবলেন তিনি।
“এসো মা..” কমলা দেবীর হাত ধরে আসতে আসতে বাড়ির ভেতরে ঢুকোলো উজান।
“এতো অন্ধকার কেন রে বাবা?” কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলেন কমলাদেবী।
“দেখছি দাঁড়াও।”
অন্ধকারে একাই দাঁড়িয়ে রইলেন কমলাদেবী। চারিদিকে ভীষণ রকম নিস্তব্ধতা কমলাদেবীকে যেন গিলতে আসছে।একা একা কতক্ষন দাঁড়িয়ে রয়েছেন কে জানে।হঠাৎই সারাবাড়িতে আলো জ্বলে উঠলো। এতো আলোয় কমলাদেবীর চোখ ধাঁদিয়ে গেলো।ভালো করে চোখ মেলে তাকাতেই তিনি অবাক হয়ে গেলেন। গোটা ঘর বেলুন ফুল দিয়ে সাজানো। বড়ো বড়ো করে লেখা Happy Birthday maa। করতালি আর জন্মদিনের গান গাইতে গাইতে এগিয়ে আসছে উজান, প্রতীক ও তার স্ত্রী কন্যা আর শর্মি পুপে। খুব সুন্দর করে সেজে এসেছে শর্মি। পুপে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে কমলাদেবীকে হামি দিয়ে বললো ” শুভ জন্মদিন ঠাম্মি। কাঁদছো কেন তুমি,জন্মদিনে কেউ কাঁদে নাকি তুমিই তো আমাকে বলতে যে জন্মদিনে কাঁদতে নেই। “
নিজের অজান্তে কখন যে দুগালে বয়ে চোখের জল গড়িয়ে এসেছে তিনি নিজেই খেয়াল করেননি।
” মা আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। আমরা তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি।”
“কি কাকিমা কেমন চমকে দিলাম। কি ভেবেছিলে প্রতীক সব শেষ করে দিলো।” হাসতে থাকে প্রতীক।
“আরে কাকিমা আমি নিত্যদিন এইসব দেখে দেখে অনেক কিছু শিখে গেছি।তাই ওদের অনেক বুঝিয়ে আজ তোমার সামনে এনেছি। তুমি কোনো চিন্তা করোনা সব আবার আগের মতন হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ শুধু আমি নই আরো একজন আছেন যার অবদানও কিছু কম নয়। সুবিমল বাবু আসুন।”
প্রায় পঞ্চাশের ওপর বয়স্ক একজন ভদ্রলোক এগিয়ে আসেন কমলাদেবীর দিকে।
” শুভ জন্মদিন ম্যাডাম। আমি সুবিমল মিশ্র আপনার বৌমা শর্মির বস। আশা করি আমার নাম বেশ ভালোভাবেই শুনেছেন আপনার ছেলের মুখে। এবার আমায় দেখে বলুন দেখি শর্মির সাথে আমায় কেমন মানাবে।কি উজান? ” হো হো করে হাসতে লাগলেন তিনি।উজান মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।
” উজান আমি শর্মির বাবার মতন। আসলে ম্যাডাম অনেকদিন আগে আমি এক দুর্ঘটনাই আমার মেয়েকে হারায়।আজ বেঁচে থাকলে হয়তো শর্মির মতন হতো। আসলে আপনার বৌমার সাথে আমার মেয়ের খুব মিল। তাই হয়তো ওর প্রতি আমি একটু দুর্বল। কিন্তু আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে একজন মেয়ে বাইরে কাজ করছে মানেই তার বসের সাথে তার খারাপ সম্পর্ক তা নয়। সবাই তো এক হয়না। শুধু শুধু মিথ্যে সন্দেহ করে নিজেদের সম্পর্কটা কেন কষ্ট করবে। “
” সরি স্যার। আর শর্মি তোমার কাছেও আমি ক্ষমাপ্রাথী আসলে আমি নিজের মাথা ঠিক রাখতে পারিনি সেদিন।”
” না উজান শুধু তুমি নও আমারও দোষ ছিল আমিও তোমার সাথে আমাকে তুলনা করতে বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছিলাম কিন্তু এটা ভাবিনি যে আমরা যদি গোটা কাজটা দুজনে মিলেমিশে ভাগ্ কিরে নিতাম তাহলে এতো অসুবিধে হতো না। সরি মা আমি বাড়ি থেকে চলে আসার সময় তোমার কথা একবারও ভাবিনি ভেরি সরি মা। “
উজান শর্মি পুপে তিনজনে মিলে কমলাদেবীকে জড়িয়ে ধরে। “আর কোনোদিন এরকম হবে না মা। চলো এবার কেক কাটি।”
বড়ো একটা কেক আসে তার সামনে। চারজনের মিলে একসাথে কেক কাটে চারিদিকে করতালি। মনে মনে ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা করেন এই কেক তিনি যেকটা বছর আর কাটবেন যেন এইভাবে চারজনে মিলে কাটতে পারেন।পেছন থেকে গান শোনা যায়
“আজি এ আনন্দ সন্ধ্যা…….।”

সৌজন্যে – প্রতিলিপি

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read