প্রদীপ কুমার মাইতি:-পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তোরণদ্বার ও প্রবেশদ্বার কোলাঘাট। গত প্রায় একমাস যাবত রাতের অন্ধকার নামলেই বাতাসে বয়ে আসছে অসহনীয় অসহ্য টায়ার বা রাবার পোড়ার বিষাক্ত দূঃর্গন্ধ। গত কয়েকদিনের এই বিষাক্ত গ্যাসে কয়েকটি গ্রামের বেশকিছু বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন এই গ্যাস নাকে যাওয়ার পর কাশি, গলা শুকিয়ে যাওয়া থেকে দমবন্ধ হয়ে আসার মত শারীরিক কষ্ট হচ্ছে । খোঁজ খবর নিয়ে স্থানীয়রা জানতে পারেন , রূপনারায়ন নদের ওপারে ঠিক কোলাঘাটের বিপরীতে একটি অবৈধ কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানে জমা করা হয়েছে লরি লরি ভর্তি করে নিয়ে আসা পুরাতন টায়ার।
রাত বাড়লেই তীব্র তাপমাত্রায় সেই টায়ার পুড়িয়ে তরল পদার্থ বের করা হয়। সেই টায়ার পোড়ার বিষাক্ত ধোঁয়াই দক্ষিণা বাতাসে নদী পেরিয়ে কোলাঘাটে প্রবেশ করছে। এই মারণঘাতী ঘটনা বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়। স্যোসাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। স্থানীয় মানুষজন মৌখিকভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন বলে জানা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরপরও কোন ভ্রুক্ষেপ না করে প্রতিদিন ওই কারখানায় এই বিপজ্জনক টায়ার পোড়ানো চলছে।
এর প্রতিবাদে এদিন কোলাঘাটে এক সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা সংগঠিত হয়। নিম্নচাপ আবহ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এই সভায় বহু মানুষ জমায়েত হন। একটি কমিটি গঠন করে এর বিরুদ্ধে, সংগঠিত আন্দোলন শুরু হল বলে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জয়মোহন পাল ও সম্পাদক শংকর মালাকার জানান।
পাশাপাশি এই কমিটি থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, আগামী দিনে প্রশাসন যদি এর ব্যবস্থা না করে তাহলে গণতান্ত্রিক ভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।