চন্দ্রাণী মুখার্জি :- হতে পারে আমাদের অ্যাডজাস্টমেন্টের অভাব আছে কিন্তু তাও খুব চেষ্টা করে চলি গোঁয়ারের মতো একসাথে থাকব বলে।
এই যে আমরা চেষ্টাটুকু করি আর তাই আমাদের বাড়ি ফেরার গন্তব্য আজও এক। তোমার পছন্দ আমার সাথে আজও মেলে না তাতে কী মিলতে হবে এমন দিব্যি আমি কবেই বা দিয়েছি। রোজকার রুটিন মেনে তোমার সাথে সুখদুঃখের গল্প করা হয়না ঠিকই কিন্তু যখনই খুব একা লাগে তখনই তোমার হাতটা ধরে বেরিয়ে পড়ি অজানা কোন পথে অজানা কোন গন্তব্যে । ঝগড়া আমাদেরও হয় তারপর আমরাও কথা বন্ধ করে দিই কিন্তু তার মেয়াদ খুব জোর দুদিন তারপর তোমার প্রিয় আইসক্রিম খেতে আমরা বেরিয়ে পড়ি বত্রিশ পাটি কেলাতে কেলাতে।
তুমিও তো সবার কাছে দুঃখ আড়াল করে আমার বুকে চোখের বৃষ্টি ভাসাও কারণ আমি বিনে তোমার কান্নাভেজা গলা কেই বা শুনেছে কোনদিন। আমাদের কোথাও প্ল্যান মাফিক খেতে যাওয়া হয় না, ঘুরতে যাওয়া হয় না কিন্তু যখনই দুজনের ক্লান্তি আসে জীবনের প্রতি আমরাও বেরিয়ে পড়ি হুঠ করে হাওয়াবদলে।
সব কিছুর মাঝেও আমরা একে অপরের জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকীটা আজও ভুলে যায়নি, হয়তো বাকি বছরগুলোতেও ভুলব না।
জন্মদিনের সকালে ঘুম ভাঙে তোমার সেই ম্যাজিক হাতের পায়েসের গন্ধে আর বিবাহবার্ষিকী মানেই আর একটা হলুদ গোলাপের তোড়া আর তোমার হাতের আরো একটা নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি। আমার আবার সেদিন বড়ো ব্যস্ততা পড়ে রান্নাঘরে কারণ ওই একটা দিন তোমার ছুটি আর আমার তোমাকে বসিয়ে খাওয়ানোর ইচ্ছে জাগে।
আটটা বসন্ত এভাবেই গেলো, বাকিগুলোও এভাবেই কেটে যাবে শুধু ওই চেষ্টাটুকু বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
সৌজন্যে – প্রতিলিপি