একটি বেসরকারী লোন প্রদানকারী সংস্থার এজেন্টদের বিরুদ্ধে তাদের এক গ্রাহক ব্যাবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠলো।ঘটনাটাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।তবে অভিযুক্ত লোন প্রদানকারী সংস্থা কিংবা তার এজেন্টদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার কুরালবাড় গ্রামের চুল ব্যাবসায়ী সেক রফিউল।হলদিয়ার একটি বেসরকারি লোন সংস্থা থেকে ব্যাবসা করার জন্যে ঋন নিয়েছিলো।গত ১৬ তারিখ সকাল বেলা নগদ এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে হলদিয়াতে সেই বেসরকারি লোন সংস্থার অফিসে টাকা জমা দিতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় নিজের বাইকে করে। নরঘাটে বাইক রাখার দোকানে বাইক রাখে।তার পরে আর তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।১৬ তারিখ ওই ব্যাবসায়ী বাড়িতে না ফেরায় পারিবারের লোক চিন্তিত হয়ে বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়তে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পারিবারের লোকজন ১৭ তারিখ ভগবানপুর থানায় মিসিং ডাইরি করে। ওই চুল ব্যাবসায়ীর দেহ ১৮ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদ কাঁথি হাসপাতালে পাওয়া যায়। মৃতের শরীরে ও মাথার পিছন দিকে আঘাত এর ছিন্ন আছে বলে জানা গেছে।
পারিবারের সদস্যদের আভিযোগ যে ওই চুল ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে সেই বেসরকারী লোন প্রদান সংস্থা অর্থাৎ বাজাজ লোন সংস্থার লোকজন নগদ এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে পরিকল্পনা মাফিক রফিউলকে খুন করেছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন সেক রফিকুল চুল ব্যাবসার জন্য বাজাজ কোম্পানি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলো। চুল সময় মতো বিক্রি না হওয়ায় লোনের কয়েকটা কিস্তি বাকি পড়ে গিয়েছিলো। অথচ টাকা ফেরতের জন্য লোন কোম্পানি থেকে এজেন্ট ও অফিস কর্মীরা বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছিলো। অভিযোগ কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্যে কিছুদিন ধরে চাপ তৈরী করা হচ্ছিলো।
এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে সেক রফিউল পরিচিত কয়েক জনের কাছে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা যোগাড় করে হলদিয়া লোন অফিসে লোনের টাকা পরিষদ করার জন্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলো। তার পর আর ওই চুল ব্যাবসায়ী বাড়ীতে ফিরেনি।
ঘটনাটিকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়েছে ভগবানপুরে।