প্রদীপ কুমার মাইতি :- শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। সিবিআই যদি নিরপেক্ষ তদন্ত করে, তাহলে সর্ব প্রথম তিহার জেলে যার নাম টা লেখানো হবে তিনি হলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজের দোষ টা ঢাকতে অপরের কাঁধে বন্ধুক রেখে শিকার করতে চাইছেন। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ১ ব্লকের বড়হাটে উত্তর বুথে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন এসে এমনটাই মন্তব্য করেন পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিক। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, আমি প্রথমে আপনাদের বলি অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে সি বি আই অভিযোগ এনেছে তিনি গরু পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত থেকে তাঁদের কাছ থেকে কাটমানি নিয়েছেন। গরু পাচার হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার – সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে। তাহলে যে রাজ্য গুলি থেকে গরু বাংলায় এসে বীরভূমে স্টক হলো সেই রাজ্যের সরকার, প্রশাসন, সেই রাজ্যের পুলিশ কি করছিলো? কেন সিবিআই সেই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেনা? অনুব্রত মন্ডল যদি গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, নিশ্চিতভাবে তিনি যদি দোষী সাবস্থ হন নিশ্চিত ভাবে আইন তাঁর ব্যবস্থা নেবেন। তিনি গরু পাচার করলেন কোথায়? বাংলাদেশে। এই বাংলাদেশে যে গরু পাচার করলেন, গরুর নিশ্চিত ডানা লাগানো নাই আকাশপথে উড়ে গিয়ে বাংলাদেশে পড়ে গেলো। নিশ্চিত পিঁপডার মতো সুড়ঙ্গ তৈরী করে মাটির নিচ দিয়ে যেতে পারবে না। যারা বাংলাদেশের বর্ডারে বিএসএফ বাহিনী ছিলেন তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে, যার মন্ত্রী হচ্ছেন অমিত শাহ। তাহলে গরু পাচার যদি অনুব্রত মন্ডল করলেন তাহলে কাদের হাত দিয়ে করলেন? কেন্দ্র সরকার, তাঁর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, তাঁর বিএসএফ সেদিনকে কি করছিলো? কেন তাঁরা সেদিনকে ধরত পারলেন না? তাহলে তাঁরা কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? ভারতীয় জনতা পার্টি ইডি, সিবিআই ও এনআইএ কে নিরপেক্ষতা না রেখেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে ব্যবহার করছে তৃণমূলকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। উপস্থিত ছিলেন পটাশপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি পিজুসকান্তি পন্ডা, সহ-সভাপতি বিনয় পট্টনায়ক, দলের মহিলা সভানেত্রী কাকলি মন্ডল, বড়হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক কুমার মহাপাত্র, ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ লক্ষ্মণ চন্দ্র পাল, প্রণব বেরা প্রমুখ।