প্রদীপ কুমার সিংহ:-আসন্ন দূর্গা পূজা উপলক্ষে বারুইপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনার তরী কমিউনিটি হলে রবিবার সকালে পূজা আয়োজকদের নিয়ে সভা হয়। যার উদ্যোক্তা বারুইপুর থানা।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিধানসভা অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়, বারুইপুর পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান গৌতম দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধক্ষ্য জয়ন্ত ভদ্র, বারুইপুর থানার আধিকারিক সৌমজিৎ রায়, বারুইপুর ফায়ার ব্রিগেড বিভাগের আধিকারিকগণ, বারুইপুর ইলেকট্রিক সাপ্লাই এর আধিকারিকগণ।
বারুইপুর এলাকায় ২৪০ টি পূজা কমিটির সদস্যরা এই সভায় ছিলেন।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বারুইপুর এলাকায় যা পুজোর হচ্ছে মোটামুটি ভাবে বলা যায় কলকাতা বড় পুজোকেও টেক্কা দিতে পারে। প্রত্যেকটি বক্তা দুর্গাপূজার পারমিশন নিতে গেলে কি কি লাগবে প্যান্ডেল কতটা ছাড় দিতে হবে মন্ডপের মধ্যে আগুন নেভানোর জন্য বালি জল প্রভৃতি জিনিস রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ইলেকট্রিকের যে তার থাকবে তা কভারের মধ্যে রাখতে হবে কোন বাচ্চা যাতে হাত না দেয় বা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার সহজেই সমাধান করা যায়, তারই আলোচ্য বিষয় ছিল এই অনুষ্ঠানে। সেই সঙ্গে দূর্গা পূজার কমিটি গুলো কিভাবে পারমিশন পাবে অনলাইনেও পাওয়া যেতে পারে অফলাইনও পাওয়া যাবে।
বারুইপুর থানা আধিকারিক সৌমজিৎ রায় এদিন বলে অনলাইনে অসুবিধা হলে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বরে বারুইপুর মহকুমা শাসকের অফিসে পাশে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রশিক্ষণ শিবিরের ওয়ান উইন্ডো করা হবে সেখান থেকে পুজো কমিটি সদস্যরা প্রতিটা কাগজপত্র দিয়ে পারমিশন করাতে পারবে। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন প্রত্যেক পুজো কমিটি গুলোকে নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ করা হবে ।কোন সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় ইনফর্ম করতে হবে। সেইসঙ্গে বারুইপুর থানায় এই পুজোর জন্য একটি স্পেশাল টিম করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ অসুবিধার কথা জানলে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
গৌতম দাস তার বক্তব্য বলেন প্রতি বছরের মত এ বছর পুজোর সময় বারুইপুর অঞ্চলে যাতে মানুষ পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখতে পারে তার জন্য বিকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত অটো টোটো রিক্সা বাইক সব রকম যানবাহন বন্ধ থাকবে।