ভারতছাড়ো আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচী হিসেবে খেজুরীর বিপ্লবীরা ১৯৪২ খ্রীষ্টাব্দের ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় খেজুরী থানা, বোগা বাংলো, জনকা সাব রেজিস্ট্রি অফিস , হেঁড়িয়া খাস মহল অফিস ইত্যাদির দখল ও ধ্বংসসাধন করে ।
তৎকালীন কংগ্ৰেস দলের কর্মসূচি ছিল কিন্তু পরের দিন অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর সারা ভারত জুড়ে থানা ও অন্যান্য সরকারী ভবনগুলিতে অভিযানের।
কিন্তু খেজুরীর বিপ্লবী নেতৃবিন্দের সিদ্ধান্তে পূর্বদিন রাত্রেই বিনা রক্তপাতে সমগ্ৰ ভারতের মধ্যে প্রথম খেজুরীতে থানা ও সরকারী ভবনগুলি দখলের সার্থক অভিযান পরিচালিত হয় ও খেজুরীতে জাতীয় সরকার গঠিত হয়। যার স্থায়িত্বকাল ছিল প্রায় তিন মাস।
ঐতিহাসিক এই ঘটনাটিকে স্মরণে রেখে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই খেজুরী ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতি’র সদস্য/ সদস্যারা এই দিনটি ঐতিহ্যবাহী খেজুরী থানা গেটে পালন করে থাকেন। এবছরও দিনটি পালিত হলো যথাযোগ্য মর্যাদায়।
উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংস্থার সভাপতি শান্তিরাম দাস, প্রাক্তন বিধায়ক ড. রামচন্দ্র মন্ডল, সহ সভাপতি সুমন নারায়ন বাকরা, শ্যামল বাকরা, সুদর্শন সেন, বানেশ্বর পন্ডা প্রমুখেরা।
থানার সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ৮১ বছর আগে থানা দখল অভিযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবী সদস্য ভোলানাথ কামিলার স্ত্রী সুশীলা কামিলা।