কারো নাম আনিশা, আবার কারাও নাম নাজমিন, মাহি, শাহনওয়াজ,কেউ বা আরহান, সুলতান, সাহিল বা কারো নাম দানিশ। এদের কারোর বাবা রিক্সা শ্রমিক, তো কেউ টোটো চালক,কারোর বাবা দিন মজুরি করেন, কারোর বাবা গাড়ির খালাসীর কাজ করেন,কারোর বাবা রাজমিস্ত্রী, কারোর বাবা পঙ্গু,তো কারোর আবার মা নেই।এই রকম ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার দ্বায়ভার গ্রহণ করেছে ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স।
এরা প্রত্যেকেই ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স দারুয়া স্টাডি সেন্টারের ছাত্রছাত্রী।আজ এই সংস্থার সদস্যা অনন্যা জানা নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন স্টুডি সেন্টারের ২১ জন শিশুর সাথে।
কেক,চকলেট, খাইয়ে এদের নতুন জামা উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হলো।।অনন্যা জানা এবং আর এক সদস্যা শতাব্দী বোস মিলে সব বাচ্চার জন্য নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করেন। বিকেল ৪ টায় ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স পরিচালিত স্টাডি সেন্টারে(নিউ রেডলিফ ক্লাব ভবন) ছোট একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাচ্চাদের উপহার তুলে দেওয়া হয়।
উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তেহেরান হোসেন,সম্পাদক সনাতন জানা,সদস্য সুদীপ পন্ডা,নাসিম আলী খান,সুভাষ রায়, রাজ কিরণ জানা,মুন্না আলী খান,ঈশিতা রায়,অনন্যা জানা প্রমুখ।
সম্পাদক সনাতন জানা বলেন,”আমাদের প্রত্যেক সদস্য আমাদের সম্পদ। প্রত্যেক সদস্যই তাদের সাধ্য মতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। আজ আমাদের সদস্য অনন্যা জানা ও শতাব্দী বোস এই শিশু দের পাশে দাঁড়িয়ে তা আবার প্রমান করলেন।”
সভাপতি তেহেরান হোসেন বলেন,” আর কিছু দিনের মধ্যে আমরা ঝাড়গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের প্রায় ৩৫০ জন আদিবাসী মানুষজনকে নতুন পোশাক দেওয়ার ও একবেলা খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এই মহতী কাজ যাতে আমরা ভালোভাবে করতে পারি তার জন্য সকলের সাহায্য প্রার্থনা করি।”