নিজের রাজনৈতিক ধাত্রী ভূমিতে একটাও পূজোর মন্ডপ উদ্বোধনে ডাক পেলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।প্রায় দুই দশক পরে কাঁথির শারদ উৎসব শুভেন্দু অধিকারীহীন! শুভেন্দু ঘনিষ্টদের দাবি সারা রাজ্য জুড়ে ব্যাস্ততার কারনে শহরের পূজো মন্ডপ গুলির উদ্বোধনে নেই বিরোধী দলনেতা।আর তৃনমূল বলছে তৃনমূল বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত সরে যেতেই বাঘ থেকে ইঁদুর হওয়া শুরু হয়েছে শুভেন্দুর।এটা তার অন্যতম উদাহরন।
২০২০ সালের আগে অবধি কাঁথি শহরে পূজার দিন গুলিতে একেবারে অন্য চিত্র ছিলো। নিজের হাতে তৈরী নান্দনিক ক্লাব সহ প্রায় সকল সরকারী অনুমোদিত-অনুমোদন না পাওয়া সার্বজনীন পুজা আয়োজক ক্লাব গুলির সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।এই সব ক্লাবের পূজা মন্ডপের উদ্বোধক কিংবা প্রধান অতিথি হিসাবে তাঁর নাম রাখা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিলো প্রায় দুই দশক ধরে।আর ২০২২ সালে কাঁথি শহর কিংবা শহর সংলগ্ন একটাও পুজা মন্ডপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাওয়া গেলনা শুভেন্দু অধিকারীকে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি।পুজা উদ্বোধনেও মমতাকে হারালাম।একই সাথে তাঁর অভিযোগ বিজেপি নেতা কর্মীরা জড়িত থাকা পুজা আয়োজক কমিটি গুলিকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবিকে হতাশার প্রলাপ বলে দাবি করেছেন যুব তৃনমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।উল্লেখ এই বছর কাঁথি ও কাঁথি সংলগ্ন এলাকার বেশীর ভাগ পূজোর উদ্বোধক সুপ্রকাশ বাবুর বাবা রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি।প্রায় সব পুজার অন্যতম অতিথি বলাগেড়িয়া সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি নিজেও।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি প্রসংগে সুপ্রকাশ গিরি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার মাথায় হাত রাখে তিনি বাঘ হয়ে যান ।শুভেন্দু অধিকারী তার অন্যতম উদাহরন।বলেন শুনেছি নিজের হাতে তৈরী ক্লাব নান্দনিকের উদ্বোধনীতেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।এছাড়া গত বছর কাঁথির যে দুই একটি ক্লাব তাঁকে ডেকেছিলো উদ্বোধনে,এবার তারাও মুখ ফিরিয়েছে।আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বসেই কাঁথির কয়েকটি ক্লাবের উদ্বোধন করেছেন।মানুষ যা চায় সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই হাত ভরে সারা বছর তুলে দেন ।তাই উৎসবের দিন গুলোতে মানুষ মমতার সাথেই আছেন,জন বিছিন্ন বিজেপি বা তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাথে নেই এটা পরিস্কার হয়ে গেছে দাবি সুপ্রকাশ গিরির।