সকাল ১০টা থেকে রাত্রি ৮.১৫ মিনিট অর্থাৎ ১০ ঘন্টারও বেশী সময় ধরে পুলিশি জেরার মুখে কাটাতে হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সৌম্যেন্দু অধিকারীকে।
কাঁথি শহরে পথবাতি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে পুলিশের নোটিশ পেয়ে সিআরপিএফ বেষ্টিত হয়ে সৌম্যেন্দু অধিকারী সকাল ১০টা নাগাদ কাঁথি থানায় পৌঁছান।
পুলিশের এতো দীর্ঘ জেরা নিয়ে সৌম্যেন্দু বাবুর আইনজীবি অনির্বান চক্রবর্তী বারবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।তাঁর দাবি হাইকোর্টের কাছে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়েছিলেন।হাইকোর্টের নির্দেশ কি ভাবে উলঙ্ঘন করা হয় সেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবি।
কাঁথি থানার পুলিশ অবশ্য এই নিয়ে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
প্রসঙ্গত শুধু পথবাতি নয়, পুরসভার শ্মশানের জমিতে দোকান তৈরি নিয়ে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। এ ছাড়া, পুরসভার ত্রিপল দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সৌমেন্দু। গত ১১ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দেয়। জানানো হয়, গ্রেফতার করা যাবে না তাঁকে। এর মধ্যেও বেশ কয়েক বার কাঁথি থানায় তলব করা হয় সৌমেন্দুকে। আবার তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ রক্ষাকবচ দেয় তাঁকে। আদালত জানায়, সৌমেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে।
থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌম্যেন্দু অধিকারী বলেন আদালত তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে তাই এসেছি।এতোক্ষন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়েও তাঁর অভিযোগ নেই বলেন দাবি করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি না বললেও ঠারেঠোরে তাঁর দাবি রাজনৈতিক কারনেই তাঁকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।যদিও কোন মামলায় তাঁকে এতো দীর্ঘক্ষন ধরে পুলিশি জেরায় পড়তে হলো বলতে রাজী হননি তিনি । আগামী সোমবার তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ ডেকেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।