রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সৌম্যেন্দু অধিকারী।সেই ভাইকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে ১০ ঘন্টা ১০মিনিট ধরে জেরা করেছে কাঁথির পুলিশ।তার জেরে কার্যত ফুঁসছেন শুভেন্দু অধিকারী।রাগ-ক্ষোভ এতো চরমে যে আদালত খুললে কানমলা দেওয়ার শাসানি দিলেন।এমনকি আলকাতরা মাখানোর হুশিয়ারিও দিয়েছেন ।তৃনমুল বলছে হতাশায় ভুল বকছেন শুভেন্দু অধিকারী।আদালত ওনার বাড়ি নয় সেটাও ভুলেছেন তিনি ।
শুক্রবার কাঁথি পুরসভার পথবাতি দুর্নীতি মামলায় সৌমেন্দু অধিকারীকে ১০ ঘন্টার বেশী সময় ধরে জেরা করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।শনিবার নন্দীগ্রামের মনিকাপুরে সাংবাদিকেরা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই রাজ্য সরকার,মুখ্যমন্ত্রী আর পুলিশের উদ্দেশ্যে একের পর এক হুঙ্কার ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বাবু বলেন , কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে এজি (অ্যাডভোকেট জেনারেল) বলেছেন, ২ ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না। সেখানে ১০ ঘণ্টা ধরে থানায় রেখেছে।দাবি করেছেন ওরা (পুলিশ) বেআইনি কাজ করেছে। কোর্টে কেমন কানমলা খায় দেখবেন। সেই সাথে হুশিয়ারি কোর্ট খুলতে দিন, কেমন মুখে আলকাতরা মাখাব দেখবেন। সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমন করেছেন বিরোধী দলনেতা।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃনমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপিতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, রাজনৈতিক দৈন্য থেকেই উনি এই সমস্ত মন্তব্য করেন। বিরোধী দলনেতা এখন ভুলভাল বকছেন।আদালতে আলকাতরা মাখানো মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সৌমেন বলেন, আদালত ওঁর বাড়ি নয় যে, ওঁর কথায় কেউ আলকাতরা মাখাতে বলবেন।সৌমেন বাবু বলেন মানুষ ওঁদের সঙ্গে নেই।উনি অত্যন্ত নিম্নরুচির ভাষা ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেন। এটাই ওঁর স্বভাব। ওঁর এমন মন্তব্যে কিছুই আসে যায় না।