শুক্রবার টানা ১০ ঘন্টা ধরে সৌম্যেন্দু অধিকারীকে পথবাতি দুর্নীতিকান্ডে পুলিশের জেরার পরে সংবাদ মাধ্যমকে সামনে পেলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমন করছেন দাদা শুভেন্দু অধিকারী। একজন বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা,অপরজন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি।
তৃণমূলে থাকাকালীন প্রায় দশ বছর কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং পরে প্রশাসক ছিলেন সৌমেন্দু। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌমেন্দুকে। তিনিও যোগ দেন বিজেপিতে। এর পর পুরসভার কাছে শ্মশানের জমিতে দোকান তৈরি, পুরসভার ত্রিপল চুরি, গ্রিন সিটি (পথবাতি) দুর্নীতি-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গ্রিন সিটি (পথবাতি) মামলায় শুক্রবার কাঁথি থানায় ১০ ঘন্টার বেশী সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।তারপরেই পুলিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমন শুরু করে অধিকারীরা।
শুক্রবার জেরা শেষে থানা থেকে বের হওয়ার সময় একে ঠারেঠোরে রাজনৈতিক বলে দাবি করতে থাকেন সৌম্যেন্দু অধিকারী।তবে সব কিছু ছাড়িয়ে যায় শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমনে।শনিবার নন্দীগ্রামে কানমলা দেওয়া,আলকাতরা মাখানোর হুমকী দেন ।একেও ছাড়িয়ে যায় রবিবারের রাত।নিজের বাড়ির গেটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে রেখে মুখ্যমন্ত্রীকে মহাভারতের পুতনা রাক্ষসীর সাথে তুলনা করেন শুভেন্দু।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র অবশ্য শুভেন্দুর কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।বলেন ওনার ভাষার শালীনতা নেই।বহুবার নিম্ন রুচিকর ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করেছেন।ওকে কেউ গুরুত্ব দেয়না