ইন্দ্রজিৎ আইচ:-বিদ্যা তোমাকে বিদ্যান করেছে তাই তুমি নও শিক্ষিত। সামাজিকভাবে এগিয়ে থাকা তথাকথিত মানুষ গুলো যখন ক্ষমতার পদলেহণে ব্যস্ত। কিছু অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি জন্য নিজের বিবেক,মনুষ্যত্ব, নীতি, আদর্শকে হাটে বাজারে বিক্রি করে ঘোমটার আড়ালে খ্যামটা নাচছে, সেই ক্ষমতার অলিন্দেই এক নব্য তরুণ প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার তাগিদে তার যাপন করা স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে একটু একটু করে মৃত্যুকে আপন করে নিচ্ছে।
যন্ত্রণাকে যন্ত্রণায় বিলীন করতে বাধ্য হয়। এই নাটকে নাট্যকার দ্বীপ গুঞ্জন সরাসরি কর্পোরেট থিয়েটার বা কোম্পানি থিয়েটারকে আক্রমণ করেছেন।
সারা বাংলা জুড়ে- যে থিয়েটার তার সামিয়ানা বিছিয়ে রেখেছে হঠাৎ করে আর্থিক যৌলিসে সেই সামিয়ানাকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে উদগ্রীব কিছু মানুষ, কিছু মানুষ কে বোঝাতে সক্ষম হয় যে ইহা কোন থিয়েটারিই নয়। আমরা যেটা করছি সেটাই থিয়েটার।
অন্তঃসারশূন্য রঙিন আলোর ঝলকানি চটুল আবহ কে এক করে পরিবেশন করা।যা পান করতে চাননি এই নাটকের মূল চরিত্র বিদ্রোহী, তাই সে আজ বিদেহী। পরিচালক সমিত দাস এই নাটকে ফাঁকা মঞ্চে তিনটি ব্লক কে ব্যবহার করে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এক সুন্দর গতিতে।
নাটকের সবকটি চরিত্র চিত্রন ভীষণভাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে। তারপরেও বিদেহী চরিত্রের সমিত দাস, তানিয়া চরিত্রে অনিমা দাস অনেকদিন মনে থেকে যাবে। এছাড়াও বিশ্বনাথ দাসের জীবন দা, স্বরাজ ঘোষের পল্টু, সম্রাট সান্যালের দুর্জয় যথাযথ। এই নাটকে আলোর ব্যবহার ভীষণ গুরুত্ব পেয়েছে দেবাশীষ চক্রবর্তী ভাবনায়।
নিরাময় চক্রবর্তী আবহও প্রশংসার দাবি রাখে। অঙ্গ-বিন্যাসে সায়ন্বিতা বন্দোপাধ্যায় ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। এই সময় দাঁড়িয়ে এই নাটক নির্বাচন ও তার সফল মঞ্চায়ন করার সাহস দেখানোর জন্য “বরানগর এবং” কে কুর্নিশ।বরানগর এবং প্রযোজিত সমিত দাস নির্দেশিত এই নাটক বাংলা থিয়েটার কে নতুন পথ দেখাবে।