কাঁথির ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্স সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল এবারের উৎসবের আনন্দ তারা ভাগ করে নেবে জঙ্গলমহলের কিছু আদিবাসী অসহায় মানুষের সাথে। সদস্যরা খুঁজে বের করেন ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের সারিয়া অঞ্চলের জগন্নাথপুর নামে একটি গ্রাম আছে, যেখানে বেশির ভাগ মানুষ খুব কষ্টে দিন যাপন করেন।
ঠিক হয় ১৫ অক্টোবর সেই গ্রামের মোট ৩৪৩ জন বাসিন্দাকেই দুপুরের মধ্যাহ্নকালীন খাবার খাওয়ানো হবে, প্রত্যেকের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হবেএবং ঐ গ্রামের সকল ছাত্র ছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে কিছু শিক্ষা সামগ্রী।আজ ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্স পরিবারের সদস্যরা ওই গ্রামে উপস্থিত থেকে সেই হত দরিদ্র মানুষদের পাশে থেকে তাদের মুখে আনন্দ ফোটানোর চেষ্টা করলেন।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মধ্যাহ্ন ভোজ তাদের মুখে তুলে দেওয়া হলো।সেই সঙ্গে নতুন পোশাক ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হলো।
অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জ্ঞানেশ্বর মঙ্গল,সারিয়া অঞ্চল প্রধান সুচেতা নায়ক সর্দার, গ্রাম সদস্যা সুকুল মনি বেশরা সোরেন, শিক্ষিকা রাধারানী সাহু সেনাপতি, শিক্ষক সুধা সিন্ধু পাত্র,শিক্ষক দিলীপ বুধক, লাল মোহন টুডু, হরি কিস্কু, প্রশান্ত টুডু, বিক্রম টুডু,উপেন কিস্কু প্রমুখ।ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স পরিবারের পক্ষ থেকে অনির্বান মাইতি,অনুপম দাস,সন্তু পাল,প্রসেনজিৎ মাইতি,শান্তি গোপাল চক্রবর্তী,রতন মন্ডল, অমল বিকাশ দাস, সুভাষ রায়,মোস্তাক আলী খাঁন,রাজকিরণ জানা,সুদীপ পন্ডা, সুনীল দাস, রমেন ভটাচার্য,প্রবুদ্ধ দাস, সৌপ্তিক মাঝী, কুষ্ণচন্দ্র মহাপাত্র, আশীষ বেরা প্রমুখ।
প্রধান সুচেতা সর্দার বলেন,”আমাদের গ্রাম খুবই পিছিয়ে পড়া। এখানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক।কাঁথির ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্স তাদের এই কর্মসূচি আমাদের গ্রামে করার জন্য আমাদের গ্রামের সবাই খুব খুশি। ধন্যবাদ জানাই এই সংস্থাকে।”
ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স এর বর্ষীয়ান সদস্য শান্তি গোপাল চক্রবর্তী বলেন,” এই এলাকার মানুষজন খুবই কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করেন। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। তিনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে এই গ্রামগুলোতে এসে কাজ করার আহবান জানান।
সম্পাদক সনাতন জানা ও সভাপতি তেহেরান হোসেন বলেন,” আমাদের এই কর্মসূচি রূপায়ণ করার ক্ষেত্রে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আগামীদিনে আমাদের এই সংস্থার গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচিতে সকলের সাহায্য পাবো আশা করি।”