ঘুর্নিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আতংকিত না হওয়ার জন্য জেলার বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছেন রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি।
পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের ৯ টি ব্লক এলাকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি উদ্ধারকারী দল গঠন করে উপকূল এলাকার মানুষজন ও মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে । জেলায় এন ডি আর অফ তিনটি টিম থাকবে দিঘা,মন্দারমনি,ও হলদিয়াতে। এস ডি আর অফ দুটি টিম থাকবে দেশপ্রাণ ব্লক পেটুয়াঘাট ও নন্দীগ্রাম ১ব্লকে বলে জানান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
আবওহাওয়া দফতর সুত্রে জানা যাচ্ছে
সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে না সমুদ্রে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়ে, বাংলাদেশের দিকে বাঁক নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তার জেরে হওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৯০- ১০০ কিলোমিটার। স্থলভাগে তা ঢুকলে গতি কমে হতে পারে ৭০- ৮০ কিলোমিটার। আর থাকবে বৃষ্টির দাপট। হাওয়া অফিসের সতর্কতা মতো, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্যোগ হবে দুই চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই মতো শুক্রবার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘূণিঝড় সামলানোর আগাম প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, আমরা এর আগে ফনি, আমফান, ইয়াসের মতন বড় বড় ঝড় সামাল দিয়েছি। আমরা সর্বত ভাবে প্রস্তুত রয়েছি, অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে মানুষ সরানোর জন্য নির্দেশ আমরা দিয়েই রেখেছি প্রয়োজন হলে কাজ করা হবে।আগামী ২৩ তারিখ থেকে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার লোক সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সংখ্যা তা আনুমানিক দেড় লক্ষ বলে জানালেন মন্ত্রী।