বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত আদিবাসী দম্পতির বাড়িতে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই চাকরি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে হাজির হলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। হাজির বিধায়ক গণও।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত জামকুন্ডা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সন্ধ্যের আগে গ্রেফতার করা হল এই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে।
বুধবার সকালে জামকুণ্ডা এলাকায় গ্রাম সংলগ্ন একটি মাঠের পুকুরে আদিবাসী দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। সকালে মা বাবাকে বাড়িতে না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে পুকুরের পাড়ে মায়ের নিথর দেহ দেখতে পেয়েছিল ওই দম্পতির ছেলে। পরে গ্রামবাসীদের জানাতে তারা দ্রুত এসে পুকুরের পাড়ে বিছানো তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেখতে পেয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে নাবালকের বাবাকেও জল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। মৃত যুবকের নাম ছিল বাপি মান্ডি (৩৫), যুবকের স্ত্রী মুগলি মান্ডি(৩০)। ভোরবেলা কোন কাজে গিয়ে ওই পুকুরে ওই দম্পতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বলে জানতে পারে স্থানীয়রা। আদিবাসীদের পরবের দিনে এই নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় দিনভর উত্তেজনা ছিল এলাকায়।
জানা গিয়েছিল গ্রামের পাশে থাকা তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সৈয়দ আলীর পুকুর ছিল। সেই পুকুর থেকে মাছ চুরি হয়ে যাওয়া আটকাতে তিনি নাকি বিদ্যুতের তারের বেড়া দিয়েছিলেন। যা নিয়ে ইতিপূর্বে গ্রামবাসীরা সতর্ক করেছিল ওই পঞ্চায়েত সদস্য সৈয়দ আলীকে। তবে তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেননি বলেই দাবির স্থানীয়দের।
এই ঘটনার পর সন্ধ্যের মধ্যেই কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযুক্ত সৈয়দ আলীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান-” অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আদালতে পাঠিয়ে।”