আলোর উৎসবেও আর্থিক দুরাবস্থার কারনে কিছু মানুষ মনমরা হয়ে থাকুক চায়নি রাজদূত ব্যায়ামাগার।তাই এই মানুষ গুলোর হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করে ৫৬ বছর ধরে কালী মাতার আরাধনায় ব্রতী এই সার্বজনীন পূজা কমিটি।আর রাজদূত ব্যায়ামাগারের সেই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ায় আন্তর্জাতিক সেবা প্রতিষ্ঠান লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট ৩২২সি ১ এর জোন XXI।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজদূত ব্যায়ামাগারের পুজা মন্ডপে এই অসহায় মানুষ গুলোর হাতে উপহার সামগ্রী হিসাবে তুলে দেওয়া হয় নতুন শাড়ি।শীতের মরসুমের কথা মাথায় রেখে দেওয়া হয় কম্বল,চাদর,বেডশিট।ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে দেওয়া হয় মশারিও।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর ।অন্যন্যদের মধ্যে ছিলেন কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিকাশ বেজ,কাঁথি পৌরসভার কাউন্সিলার তনুশ্রী চক্রবর্তী,মৎস্যজীবি সংগঠনের কাঁথি মহকুমা সভাপতি আমিন সোহেল,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,কাঁথি পৌরসভার কাউন্সিলার দেবাশীষ পাহাড়ী,ডাঃ নন্দিতা পট্টনায়ক প্রমুখ গুনীজন ।
তাঁরা প্রত্যেকেই রাজদূত ব্যায়ামাগার ও জোন XXI এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
জোন চেয়ারম্যান সুস্মিত মিশ্র জানিয়েছেন এদিন ১৫০ জনের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও প্রায় ১৫০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় শাড়ি,চাদর,বেডশিট,মশারি।বলেন শুধু অসহায়দের পাশে থাকাই নয়,আমাদের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এর জন্ম দিনকে আরো সার্থক করে তোলারও এ এক ক্ষুদ্র প্রয়াস।