কাঁথি পৌরসভার কর্মচারী চঞ্চল নন্দীকে থানায় ডেকে প্রায় এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট ধরে জেরা করে পুলিশ। চাকরী দেওয়ার নাম করে চাকরীপ্রার্থীদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চঞ্চল নন্দী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চঞ্চল নন্দীকে বাঁকুড়া সদর থানায় ডেকে প্রায় এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট ধরে জেরা করে পুলিশ। গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ডিং করা হয় পুলিশের তরফে।
জানা গেছে চঞ্চল নন্দী সহ আরো তিন জন কয়েক জন যুবককে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নিলেও চাকুরী দেওয়ার ব্যাবস্থা করেনি।প্রতারিতরা আরো অভিযোগ করেছে চঞ্চল নন্দী নিজেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট পরিচয় দিয়ে তাঁদের ফাঁসিয়েছিলো।যদিও শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবির দাবি চঞ্চল নন্দী তাঁর মক্কেলের ঘনিষ্ট নয় ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে বেশ কয়েকমাস আগে বাঁকুড়ার তিলাবেদ্যা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক মানস কুমার সিংহ বাঁকুড়া সদর থানায় চঞ্চল নন্দী সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ জানান। সেই ঘটনার তদন্তে নামে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত একজন এখনো পলাতক।
অভিযোগ দায়েরের পর চঞ্চল নন্দীর তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবজের জন্য আবেদন জানানো হয়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ প্রথমে রক্ষাকবজ নাকচ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় ওই অভিযোগের তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো বাধা না থাকলেও চঞ্চল নন্দীকে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া সদর থানার তরফে কাঁথির বাসিন্দা চঞ্চল নন্দীকে বাঁকুড়া সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চঞ্চল নন্দীকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল নন্দী বলেন, আভিযোগকারীকে আমি চিনিও না, জানিও না।