শহীদ দিবসে তৃনমূলের সভা বানচাল করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠলো রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।যদিও এই অভিযোগের প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ভুমি উচ্ছেদ প্রতিরোধে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে দ্বিতীয়বার ‘অপারেশন’ চালানোর পর সিপিএমের তরফে সেটিকে ‘নন্দীগ্রামের সুর্যোদয়’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল ৷ ওই হামলায় নিহত শহিদদের স্মরণে তারপরের বছর থেকে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ কর্মসূচি পালন করে আসছে শাসকদল তৃণমূল৷ এবার সেই শহিদ কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করেই গোষ্ঠী কোন্দলে কার্যত শাসকের কর্মসূচি বানচাল হয়ে যেতে বসেছিলো মাঝপথেই।তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দলের একাংশ৷আর এই ঘটনার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন কুনাল ঘোষ।
মঞ্চে তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ানের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন দলেরই একাংশ। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে৷ পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মাঠে নামলে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের৷ যার জেরে শহিদ স্মরণকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তপ্ত নন্দীগ্রাম৷
এই প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ইঙ্গিত করে কুণালবলেন,শহিদদের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্যই কেউ এদের পাঠিয়েছে৷’ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কুণালের হুঁশিয়ারি,যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ না হয়, তা হলে বিকেল ৩ টার সময় মঞ্চ সমেত উপড়ে ফেলে দিয়ে আসব।
উল্লেখ্য বিকাল তিনটায় স্মরন সভার অনুষ্ঠান আছে শুভেন্দু অধিকারীর।তবে সেই সভা নিয়েই বিজেপির মধ্যে চাপা উত্তেজনা আছে ।যার জেরে বুধবার রাতেই নন্দীগ্রামে প্রকাশ্যে এসেছে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনাও৷