স্বামী অখন্ডানন্দ :- অল্প কয়েকদিন পরেই গঙ্গাধর এক শনিবারে ঠাকুরের নিকট দ্বিতীয়বার উপস্থিত হইলে তিনি গঙ্গাধরকে একখানি মাদুর দিয়া উহা পশ্চিমের বারান্দায় পাতিতে বলিলেন।
পরে একটা বালিশ আনিয়া উহাতে শুইলেন।অতঃপর তিনি গঙ্গাধরকে সুখাসনে বসিয়া ধ্যান করিতে বলিলেন। আসনের উপদেশচ্ছলে তাঁহাকে বলিলেন, “একেবারে ঝুঁকে বসতে নেই, আবার এমনি (টান) হয়েও বসতে নেই। ”
তবে সঙ্গে সঙ্গে ইহাও বলিয়া রাখিয়াছিলেন,”বাড়া ভাত পেলে তুই যেমন করেই খা, পেট ভরবে।”অবশেষে গঙ্গাধরের জিহ্বায় কি যেন একটা লিখিয়া তাঁহাকে দীক্ষা দিলেন এবং শয়ন করিয়া গঙ্গাধরের ক্রোড়ে শ্রীচরণ স্হাপনপূর্বক তাঁহাকে পদসেবা করিতে আদেশ দিলেন।
গঙ্গাধর তখন একটু একটু কুস্তি লড়েন; সুতরাং এমন জোরে চাপ দিলেন যে,ঠাকুর বলিয়া উঠিলেন, “ওরে,করিস কি ? করিস কি ?ছিঁড়ে যাবে যে! এমনি করে, আস্তে আস্তে।” গঙ্গাধরের তখন হুঁশ হইল যে,ঠাকুরের শরীর অতি কোমল, যেন হাড়ের উপর মাখন মাখানো রহিয়াছে।