Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

।। বিশেষ পদ্ধতিতে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চাষ করে নজর কেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ।।

সারা বছরে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি অবধি চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। সেই দিকে নজর রেখে পাঁকুড়ার নস্করদিঘী,জানাবার,উত্তরপলসা,দোকান্ডা সহ একাধিক এলাকায় শীতকালীন ফুল হিসেবে চন্দ্রমল্লিকা চাষ পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। কখনো হলুদ চন্দ্রমল্লিকা কখনো জিরাট বা সাদা মল্লিকা চাষ করে থাকে চাষিরা।



তবে শুধু জল বা সার দিয়ে এই ফুলের চাষ হয় না তার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিদ্যুতের মাধ্যমে ল্যাম্প জেলে এই চারা গাছকে বড় করে তোলা হয়। সঠিক সময়ে গাছের বৃদ্ধি আনার জন্যই বিদ্যুতের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। চাষিরা সঠিক সময় চন্দ্রমল্লিকা চাষের জমিতে রাতের বেলায় একাধিক ল্যাম্প জ্বেলে চন্দ্রমল্লিকা গাছ ধীরে ধীরে বড় করে তোলে।

ফুল চাষীরা জানিয়েছেন এই চাষের পিছনে বিঘা প্রতি প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা করে ব্যয় করেন চাষিরা। ফুল ফোটার পর এই চন্দ্রমল্লিকা দূরদূরান্ত দেশে রপ্তানি করা হয়। সেখানে চাষিরা লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ পেয়ে থাকে।তাই ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই যাতে বাজারে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের সরবরাহ রাখা যায় তার জন্যে সচেষ্ট থাকেন চাষীরা।



তবে এ বছর পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ব্যাপক পরিমাণে চন্দ্রমল্লিকা চাষ হয়। যে কারণে একপ্রকার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।
মল্লিকা চাষে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তাতে ইলেকট্রিক বিলও দিতে হয় চাষীদের। বিশেষভাবে সাদা রংয়ের বাল্ব জ্বলতে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ চাষের জমিতে। রাতের সৌন্দর্য দেখলে মনে হয় এ যেন এক চাষের মেলা।

আর সেই মনোরম দৃশ্য দেখতেও বহু মানুষ রাতের অন্ধকারে ভীড় করেন চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষের মাঠ গুলোতে।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read