রবিবার সকালে দিঘা মোহনার মাছের আড়তে আচমকা দেখা মিললো বিলুপ্ত প্রায় করাত মাছের।এই খবর জানার পরেই সেই মাছকে দেখতে মাছের আড়তে ভীড় জমান বহু মৎস্যজীবি।খবর পেয়ে দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও ভীড় করেন মোহনায় মাছের আড়তে ।
বাংলায় পরিচিত করাত মাছ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘কারপেন্টার হাঙর’ নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম প্রিসটিস পেকটিন্যাটা । করাত মাছের নাক লম্বা আর চ্যাপ্টা।সামুদ্রিক মাছ স্টিং রের একটি প্রজাতি। এদের সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শারীরিক দিক হচ্ছে এদের চঞ্চু বা ঠোঁট। দেহের সম্মুখভাগে লম্বা ও শক্ত চঞ্চুর দু’পাশে থাকে সারি সারি তীক্ষ্ণ দাঁত, যা শিকারের জন্য ব্যবহার করে মাছটি।
বিশ্ব জুড়ে করাত মাছের মোট ৫ টি প্রজাতির মধ্যে দু’টি অতি বিপন্ন এবং তিনটি বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।৩০-৫০ বছর আগেও বিশ্বের ৯০ টি দেশের সমুদ্র উপকূলে এই মাছের দেখা পাওয়া যেত। এখন ৩৫টি দেশের সমুদ্রে এই মাছের অস্তিত্ব রয়েছে।
এশিয়ার সর্ব বৃহৎ নোনা মাছের আড়ত দিঘা মোহনায় এদিন বিক্রীর জন্যে আসা এই মাছের ওজন প্রায় ৫০০-৫৫০ কিলো ।প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার পারাদ্বীবের একটি ট্রলারে উঠেছিল মাছটি। দিঘা মোহনার জিকেডি আড়তে উঠেছে। যার বাজার মূল্য কয়েক হাজার টাকা বলে জানা যাচ্ছে।এই মাছের পাখনা দিয়ে জীবনদায়ী ঔষধ তৈরি হয় বলে মৎসজীবিদের দাবি। এছাড়াও করাত মাছের দাঁত ব্যাপকভাবে সাজসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যাবহার করা হয় ।