তৃনমূলের সভার পরেই শাসক দলের নেতৃত্বের উপরে হামলার ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।আর কয়েক মাস পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন।তার আগে কার্যত রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে ভগবানপুর জুড়ে ।
সোমবার ভগবানপুরের পাঁউশিতে তৃনমূলের সভার পরেই মঙ্গলবার সকালে বরোজ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিককে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতা অসীম মিশ্র বলেন, তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে কাটমানির ভাগ নিয়ে লড়াই হয়েছে।তার জন্যই সেই তৃণমূলের নেতা মার খেলো।এই বিজেপি নেতার আরো দাবি পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগাবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরো বাড়বে এবং লড়াই প্রকাশ্যে আসবে।অসীম মিশ্র বলেন নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলকে বিজেপির বলে চালানো হচ্ছে।
বিজেপি অস্বীকার করলেও তৃনমূলের অভিযোগ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী করতেই বিজেপি এই হামলা চালিয়েছে।ভগবানপুর ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলেন,গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ সভা চলছে। স্বাভাবিকভাবে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও দলীয় পদে রয়েছেন। সকালে যাওয়ার পথে বিজেপির বেশ কয়েকজন হার্মাদ বন্দুকের বাঁট নিয়ে হামলা চালায়। বিজেপি হার্মাদরা যেভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা উচ্চতর নেতৃত্বকে জানিয়েছি ও থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করছি। তখনো অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অবস্থান-বিক্ষোভ চালাবো।
উল্লেখ চিকিৎসার পর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা আহত অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিককে ভূপতিনগর থানায় নিয়ে আসেন। থানার সামনে বসেই জখম ওই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।