প্রদীপ কুমার মাইতি :- হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি ও ঐক্যের মেলবন্ধন ঘটাতে এগিয়ে এলো পটাশপুর। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর সংবিধান ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত হয় ঐতিহ্যবাহী বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান।
এদিন দল-মত নির্বিশেষে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের সমস্ত জ্ঞানীগুণী ও বিদ্বজ্জনেরা সামিল হন। মূলত সম্প্রীতির বার্তা দিতে এই ঐতিহ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান। বর্তমানে সারাদেশে চলছে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ। পাশাপাশি হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। তাই আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সেইসঙ্গে জাতীয়তাবাদ বিনষ্ট হচ্ছে।
দিকে দিকে সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলেই ধর্মের নামে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো কখোনোই কাম্য নয়। তবে আগামীদিনে ‘ভারত’ বিশ্বে একটা নতুন পথ দেখাবে। আমরা এক, আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই- এই অঙ্গীকার করতে হবে বলে আয়োজক সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।
এদিনের সম্প্রীতি সভায় উপস্থিত ছিলেন সভার সভাপতি ডঃ শেখ মনীরুল ইসলাম, এগরা কলেজের অধ্যক্ষ দীপক কুমার তামিলী, পটাশপুর ১ ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ আলি, জেলার বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মৃণালকান্তি দাস, পটাশপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পিজুস কান্তি পন্ডা, সমাজসেবী মানস রায়, পটাশপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মকসেদ আলি, খাড় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কমল কুমার পণ্ডা, বিশিষ্ট সমাজসেবী দূর্গাপদ পাহাড়ি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা ফজলে রসুল ক্কাদেরী, ইমাম মাওলানা মুখতার আলম রিজভী, ওয়েলফেয়ার পার্টির রাজ্য সম্পাদিকা শাহজাদী পারভীন, জনাব মাওলানা মীর্জা সুলায়মান বেগ ফুরফুরাবী, জনাব মাওলানা আব্দুল হান্নান, সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠোপষোক তথা পটাশপুর সংবিধান ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম ও সভাপতি মহম্মদ এহসান আলি ক্কাদেরী প্রমুখ। এদিনের সভায় উভয় সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ সামিল হন।