Select Language

[gtranslate]
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

।। স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোর গেল হোমে ।।

নারায়ণগড় ব্লকের তুতরাঙ্গা উদীয়মান তরুণ সংঘের উদ্যোগে রাস্তার পাশে বসে থাকা এক মানসিক ভারসাম্যহীন, প্রতিবন্ধী কিশোরকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা হোলো।

জেলার সবং ব্লকের এর বোয়ালিয়া গ্রামের হারার চক বাজারে কিছুদিন এই মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী কিশোরকে বসে থাকতো। এই কিশোরটি ভালো করে কথা বলতে পারে পারতনা এবং বেশিক্ষণ ঠিক মতো হাঁটতে পারতো না।যদিও ছেলেটির খাওয়া, পোশাকের কোনো অভাব হতো না। কারণ স্থানীয় চা দোকানদার সুব্রতবাবু, তাঁরর বাবা,মা এবং চা খেতে আসা বিভিন্ন মানুষজন এবং ওখানের অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের কর্মচারীরা ছেলেটির যতটা সম্ভব যত্ন নিতেন।


দিন কয়েক আগে তুতরাঙ্গা উদিয়মান সংঘের বিশ্বজিৎ জানা ব্যাক্তিগত কাজে সন্ধ্যে বেলা হারারচক দিয়ে আসার সময় ওই ছেলেটিকে ঠান্ডায় বসে থাকতে লক্ষ্য করেন। তিনি ক্লাবে এসে আলোচনা করে কিভাবে ওই ছেলেটিকে হোমে পাঠানো যায় তার কথা আলোচনা করেন অন্যান্য সদস্যদের সাথে।

পরের দিন দুপুর নাগাদ সংঘের জগদীশ মাইতি,কৃষ্ণেন্দু,বিশ্বজিৎ,শুভেন্দু,অরবিন্দ,শংকর,রাজকুমর বাবুররা হারারচকে গিয়ে তাঁদের পরিকল্পনার কথা সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানান। স্থানীয় সংশ্লিষ্ট সবাই উৎসাহিত সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


তখন শিশু সুরক্ষা দপ্তরের হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয় কিন্তু সেখান থেকে সেরকম কোনো আশার আলো দেখতে না পেয়ে উদীয়মান তরুণ সংঘের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর ছাত্র সমাজের কর্মী কৌশিক কঁচের সহযোগিতায় এ ডি এম দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়। স সেই সঙ্গে মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিভা মাইতিকে বিষটি জানানো হয়।



তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।এরপর এ ডি এম দপ্তরের তরফ থেকে পুরো ঘটনার খোঁজ নেওয়া হয়। মঙ্গলবার প্রতিভা মাইতির উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ,সবং ব্লকের বি ডি ও ,সি এম ও এইচ-এর সাথে যোগাযোগ করেন।এর পরিপ্রেক্ষিতে সবং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং ক্লাবের সদস্যদের ডেকে পাঠান ও স্থানীয় মানুষজনের উপস্থিতিতে ছেলেটিকে নিয়ে যাধ।



ছেলেটিকে ব্লক হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করে হোম এ নিয়ে যাওয়া হয়। উদীয়মান তরুণ সংঘের পক্ষে জগদীশ মাইতি এই মানবিক প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read