Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

।। কাজ না করলে পদ নেই,দলীয় নেতৃত্বদের স্পষ্ট নির্দেশ অভিষেকের ।।

কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ মাঠের ভেতরে বাহিরে তখন তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে লক্ষাধিক তৃনমূল কর্মী সমর্থক।তিনি তখন ‘মেগা’ সমাবেশের থেকে ছয়-সাত কিমি দুরে কাঁথি ৩ ব্লকের মারিশদা পঞ্চায়েতের এক নাম না জানা গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। কথা বললেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গেই ঘুরে দেখলেন বাড়িঘর। যাওয়ার আগে আশ্বাস দিয়ে বলে গেলেন,দেখে গেলাম। যা করার করব।

মারিশদার ওই গ্রামে অভিষেক পৌঁছতেই তাঁকে দেখে ছুটে যান মহিলা, শিশু-সহ অনেকে। সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকও শুরু করেন তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতা অভাব -অভিযোগের কথা বলেন। অভিষেক পাল্টা প্রশ্ন করেন, রেশন পান? উপস্থিত জনতা জবাব দেয়, ‘‘আমরা রেশন পাই। কিন্তু অনেক সরকারি ভাতা পাই না। এলাকার নিকাশের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এক মহিলা। অভিষেক তাঁকে বলেন,চলুন, দেখে আসি।

তার পরই ওই মহিলার সঙ্গে ঢুকে পড়েন গ্রামে। গ্রাবমাসীদের সঙ্গে পরবর্তী কালে যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর চেয়ে নেন অভিষেক। সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমি দেখে গেলাম। যা করার করব।এর পর বলেন, আমি যখন তখন চলে আসব। এক কাপ চা খেয়ে যাব।পরে মঞ্চে উঠে সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

এরপর কাঁথির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে ইস্তফার নির্দেশ দেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফাপত্র জমা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।


তিনি বলেন,সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ক্ষোভ, বিক্ষোভ জানাবে অথচ দেখবে না। কার কথায় পঞ্চায়েত চলছে? তৃণমূলের চিহ্নে জিতব আর বিজেপির দালালি করব? যারা এসব ভাবছেন তাদের সকলের তালিকা আমার কাছে আছে। তাদের মেরুদণ্ড কোথায় রাখা আছে আমি জানি। মানুষের কাজ না হলে আমাদের রাজনীতি করে লাভ নেই।

দলের নেতৃত্বদের প্রশ্ন করেন যার নেতৃত্বে দল করি সেই মমতা যদি গ্রামে যেতে পারেন তাহলে আমরা কেন যাব না? ১০টা করে গ্রামে যান। দরকার হলে রাতে গিয়ে থাকুন। মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনুন।

এর আগে উত্তরঙ্গের ধূপগুড়িতে সভা করতে যাওয়ার পথেও দোমহনিতে থেমে গিয়েছিল অভিষেকের গাড়ি। সেখানেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, শুনেছিলেন অভাব-অভিযোগের কথা। কাজ না হওয়ায় ফোনে ধমকও দিয়েছিলেন পদাধিকারীকে।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read