শাসক দল তৃনমূলকে হারাতে রাম-বাম জোট করলেও তমলুকের খারুই-গঠরা সমবায় সমিতির ভোটারেরা হতাশ করলো শুভেন্দু অধিকারী-মহম্মদ সেলিমের অনুগামীদের।
রবিবার সকাল থেকে সমবায় নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম-বিজেপি জোটের সংঘাতে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি চার্জ করতে হয় পুলিশকে।
তমলুকের খারুই-গঠরা সমবায় সমিতির নির্বাচন মোট আসন ৪৩টি। ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিলো তৃণমূল।সিপিএম-বিজেপি জোট করে ৪৩টি আসনে প্রার্থী দেয় ।
সিপিএম-বিজেপি জোটের থেকে অভিযোগ করা হয় তাদের ভোটারদের বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বুথ স্লিপ ছিনিয়ে নেয় তৃনমূল।অপরদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি এবং সিপিএমের জোটই এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। এ নিয়ে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা রাজেশ হাজরা বলেন,বিজেপি ময়নার বাকচা থেকে লোক এনেছিলো। তাদের মুখ এলাকার কেউ চেনে না।স্বাভাবিক কারনে এলাকাবাসী তাদের আটকায়। পুলিশ যে ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে, তার প্রশংসা করেছেন রাজেশ।
উত্তেজক পরিবেশে রবিবার বিকালে ভোট গননা শুরু হতেই স্পষ্ট হতে থাকে এখানেও রাম-বাম জোট মুখ থুবড়ে পড়েতে চলেছে।প্রসঙ্গত এর আগে নন্দকুমারের ‘বহরমপুর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড’-এ রাম-বাম জোট জয়ী হলেও মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে বাম-বিজেপির ওই জোট। একই হাল হল তমলুকের খারুই-গঠরা সমবায় সমিতির নির্বাচনে ।
জানা গেছে ৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃনমূল প্রার্থীরা।মাত্র ৪টি আসনে জয়ী হতে পেরেছে রাম-বাম জোট ।