স্বামী প্রভবানন্দ :- প্রেমানন্দ মূলত নম্র স্বভাবের লোক ছিলেন, তিনি আবেগ-প্রবণও ছিলেন না আর ভাবপ্রবণও ছিলেন না। কিন্ত্ত কখনো কখনো তিনি ঈশ্বরোন্মত্ত হয়ে পড়তেন, আর তাঁর আনন্দময় ভাবের অমোঘ টানে অন্যেও ঐ অবস্থা লাভ করত।
এইরকম একসময়ে মঠে ভজন চলছিল, প্রেমানন্দ হঠাৎ ভগবদানন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়লেন। তিনি স্বামী সারদানন্দকে গান গাইবার জন্য অনুনয় করতে লাগলেন; বললেন, “ভাই, তোমাকে গাইতেই হবে! দেখতে পাচ্ছ না কত আনন্দস্রোত এখান দিয়ে বয়ে চলেছে ? তুমি না গাইলে, এসব বন্ধ হয়ে যাবে।”
সারদানন্দ বহুকাল গান গাইনি বলে আপত্তি জানালেন ।কিন্ত্ত প্রেমানন্দ শোনবার পাত্র নন।তাই,সন্ন্যাসীভাইকে সন্তুষ্ট করবার জন্য সারদানন্দ গাইলেন এবং নাচেও যোগ দিলেন।
পরের দিন তিনি মন্তব্য করেন, “আহা,বাবুরাম এই বুড়ো বয়সে আমাকে নাচিয়ে ছেড়েছে। কিন্ত্ত তার অনুনয়ে কে সাড়া না দিয়ে পারে ?”