পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে বোম বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করে রাস্তায় নামলো বিজেপি।
গত ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে এই বিস্ফোরনে তীব্রতায় উড়ে গিয়েছিল তৃনমূল নেতার বসত বাড়ির একাংশ৷ মৃত্যু হয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সহ তিনজন৷ বিজেপিরভিযোগ ঘটনার তিনদিন পরেও কী থেকে এই বিস্ফোরণ, তা স্পষ্ট করতে পারেনি রাজ্য পুলিশ৷ তাই তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কায় এবং প্রকৃত ঘটনা জানতে এনআইএ তদন্ত চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা৷
সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয়ার্ধে শুনানি হতে পারে সংশ্লিষ্ট মামলার৷ বস্তুত, ঘটনার পরই এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
বস্তুত, শনিবার কাঁথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল৷ তার আগের দিন গভীর রাতে বিস্ফোরণটি ঘটে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে৷ বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়িটি কার্যত ধুলিসাৎ হয়ে যায়৷ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় তিনটি দেহ৷ গুরুতর জখম হয় আরও দু’জন৷ রাজকুমার ছাড়াও এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তার ভাই দেবকুমার মান্না ( লালু) ও বিশ্বজিৎ গায়েনের৷
সোমবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড ও পুলিশ কুকুর।কিন্তু ৭২ ঘণ্টা পরেও পুলিশ বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি বলেই দাবি মামলাকারীর। এমনকি এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি ফরেন্সিক দল। ফলে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে এদিন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। এই বিষয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানান তিনি।
সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করেছে। আজই এই মামলার শুনানি হতে পারে। স্বভাবতই, শেষ পর্যন্ত আদালত এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকের স্নায়ুর চাপ বাড়বে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের৷
এর মধ্যেই তৃনমূলের উপরে চাপ আরো বাড়াতে ভগবানপুরের বিধায়কের নেতৃত্বে এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পড়লেন