অমিত শাহের মন্তব্যের প্রথম লাইনটা বলছে শুভেন্দু,দ্বিতীয় লাইনটা বলছেনা।অমিত শাহের প্রথম লাইন টাইম হো গেয়া। আর পরের লাইনটা হল শুভেন্দু কো নিকালনা চাহিয়ে।এই ভাষাতেই রবিবার কাঁথির পেটুয়াঘাটে তৃনমূলের সভা থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমন শানালেন তৃনমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
রবিবার তৃনমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার দেশপ্রাণ ব্লক কমিটির উদ্যোগে গদ্দার বিরোধী দিবস উদযাপন করা হয় ।এই সভায় কুনাল ঘোষ ছাড়াও অন্যতম রাজ্য নেতৃত্ব ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়,রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়,রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর,তৃনমূল জেলা যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি,জেলা সাধারন সম্পাদক তরুন জানা প্রমুখ নেতৃত্ব।
কুনাল ঘোষ নিজের ভাষনে বলেন তৃণমূলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিবিআই ইডির বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা রাখি। আমি মেরুদন্ড বিক্রি করে অমিত শাহের জুতো চাঁটতে যাইনি। আর এক সময় তৃনমূলে ক্ষমতাভোগ করা অধিকারী কোম্পানী মেরুদন্ডটা বিক্রী করে দিয়েছে।
কুনাল বলেন শুভেন্দুর কম্বল বিলি করতে গিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাচ্চা মেয়েটা মারা গেছে, মা কাঁদছে। অথচ শুভেন্দু পালিয়ে গেল।উচিত ছিল গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যাওয়া। একজন কেউ এলনা । এত বড় নোংরা মানসিকতার লোক রাজ্যে আর একটাও নেই।
তৃনমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক বলেন বিজেপির নেতারা গেলনা,অথচ ঘটনার পর তৃণমূলের নেতারা লোকজন ছুটে গিয়েছে উদ্ধার করার জন্যে। ওদেরর জন্যে যারা মারা গেল তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে করেনি। অথচ কোলকাতায় বসে অমিত শাহর জুতো চাঁটছে।
এর পরেই শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমন করে কুনাল বলেন বিজেপির এক নেতা নাকি বলে গিয়ছে টাইম হো গেয়া। কিন্তু প্রথম লাইটা বললেও পরের লাইনটা বলেনি। প্রথম লাইন টাইম হো গেয়া। আর পরের লাইনটা হল শুভেন্দুকো নিকালনা চাহিয়ে।
ও প্রথম লাইনটা বললেও পরের লাইনটা বলছেনা।
২১ তারিখ অভিষেকের পাল্টা সভা করবে শুভেন্দু । সভার জন্যে যে মাঠটা ঘেরা হয়েছে তাতে ৫—৬ হজারের বেশি লোক ধরেনা দাবি করেন কুনাল।একই সাথে কটাক্ষ করে বলেন
অভিষেকের পেছন পেছন ঘুরছে। অভিষেক যাঁহা পর খাড়া হোতা হ্যায় উঁহিসে শুভেন্দুকা লাইন শুরু হোতা হ্যায় ।
আর আজকে আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে ঘুরছে। শাস ভি কভি বহু থি। আর আপকা যো গদ্দার ফ্যামেলি ওভি কভি তৃনমূল থি। বিরোধী দলনেতার দম শেষ। ফুটো কলসি বাজে বেশি।বলছে পূর্ব মেদিনীপুরে লোক পাঠান । ধস নেমেছে। কুনাল বলেন ও যদি বড় নেতা হতো তা হলে দিল্লির বড় নেতা নেত্রী এলে বলতো আমার জেলায় নয় অন্যে জেলায় যান । আমার জেলা আমি দেখে নিচ্ছি। ঠিক তৃণমূলে থাকার সময় যেমন বলতো কোলাঘাটের পর আমি দেখব মমতাদির ভরসাকে আস্থা করে। আর এখন দিল্লিতে ঘন ঘন এসএমস পাঠাচ্ছে। আমাকে বাঁচান । পূর্ব মেদিনীপুরে আর বিজেপি নেই ।