Select Language

[gtranslate]
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

।। অভিষেকের সভার পাল্টা শুভেন্দুর সভার চুড়ান্ত প্রস্তুতি ।।

অধিকারীদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে গত ৩ ডিসেম্বর সভা ছিলো তৃনমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় ১ লক্ষ কর্মী সমর্থকের জমায়েত করেছিল তৃণমূল।

তারই পাল্টা হিসেবে আগামী কাল ২১ ডিসেম্বর কাঁথি শহরেই সভা করছে বিজেপি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতৃত্বের দাবী, এই সভায় কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ হাজার জমায়েত হবে।

যদিও তৃণমূলের উক্তি, যে মাঠে সভা সেখানে ৫-৭ হাজারের বেশী লোক ধরানোর জায়গা নেই। তাই অভিষেকের সভার সঙ্গে শুভেন্দুর সভার কোনও তুলনা হবে না বলেই দাবী জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বরা।



তবে এই সভাকে সফল করতে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা জুড়ে পথ সভা, মিছিল করছে বিজেপি। সেই সাথে মাঝে মধ্যেই বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছে নানা ভাবে সভা বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে । গত পরশু কাঁথির অদূরে জুনপুটের রাস্তায় বিজেপির সভার প্রচারে তৈরি তোরণ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও সভা ঘিরে একের পর এক বাধার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। সভাস্থল ঘিরে প্রথমে সমস্যা তৈরি হয়, সভার অনুমতি নিয়েও সমস্যা বাধে। পরে মাইক বাজানোর অনুমোদন নিয়েও আদালতে গিয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবী, শুভেন্দুর সভা বানচাল করতেই প্রশাসন নানা ভাবে অসহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। যদিও এই বাধা কাটিয়েই বিপুল জনসমাগম করার লক্ষ্য নিয়ে বিজেপি এগোচ্ছে বলে স্থানীয় নেতৃত্বরা দাবী জানিয়েছেন।

বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পন্ডিত জানান, “শুভেন্দু অধিকারীর সভা ঘিরে কোনও বাধাই ধোপে টিকবে না। যত বাধা আসবে ততই আমরা এগিয়ে যাব”। সুদামের দাবী, “আমাদের টার্গেট এই সভায় কমপক্ষ্যে ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক জমায়েত করা। তবে তার থেকে অনেক বেশী মানুষ আসার সম্ভাবনা রয়েছে” বলেও দাবী জানিয়েছেন তিনি। সুদাম জানিয়েছেন, “বেলা ২টো থেকে সভা শুরু হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও জেলার বিজেপি বিধায়করাও এই সভায় হাজির থাকবেন”। তবে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় স্তরের কোনও নেতা এই সভায় থাকছেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি বিজেপি নেতৃত্বরা।

অন্যদিকে বিজেপির সভাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতি। তরুণের দাবী, “যে মাঠে বিজেপি সভা করছে সেই মাঠে ঠাসাঠাসি করেও ১০ হাজারের বেশী জমায়েত করা যাবে না”। তরুণের আরও দাবী, “বিজেপির সভায় এই জেলা ছাড়িয়ে অন্য জেলা থেকেও লোক আনাতে হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে লোক আসবে বিজেপির সভায়। তাই অভিষেকের যেরকম সভা হয়েছিল তার সঙ্গে বিজেপির সভার কোনও তুলনা হয় না” বলেই দাবী তরুণের।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read