মাঝে মাত্র আর কয়েকটা দিন । ইংরেজী নতুন বছরের প্রথম্মাস অর্থাৎ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা।আর এই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে জেলা সেচ দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকেরা।
এদিকে নদীর ভাঙ্গনের ফলে একটু একটু করে এগিয়ে আসতে সাগর। কপিলমুনি মন্দির থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে অবস্থান করে আছে বঙ্গোপসাগর। প্রতিবছর একটু একটু করে সাগরের তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাসাগরের মূল ভূখণ্ড। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গঙ্গাসাগরের বহু নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিতও হয়েছিল এলাকা।এমনকি ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য তো আশ্রয় নিতে হয়েছে এলাকার অনেকের।প্রতিমাসে ছোট বড় কোটাল তো রয়েছে এই কোটাল এর ফলে ধীরে ধীরে সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগরের অধিকাংশ এলাকা মাটির নদীবাঁধ থাকার কারণে কোটালের ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তবে রাজ্যের সেচ দফতরের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করে চলেছে।
মঙ্গলবার সাগর ব্লকের গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সেচ দফতরের নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে এলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।তিনি নদীবাঁধ পরিদর্শনের পাশাপাশি মেলার প্রস্তুতি ও খতিয়ে দেখেন।মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং এর কাজ সম্পন্ন করা হবে।এছাড়াও বেনুবন থেকে নামখানা পর্যন্ত ফেরি চলাচলের ক্ষেত্রে যাতে না অসুবিধা হয় সেদিকেও বিশেষ নজর দিয়েছে সেচ দফতর।