লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দলের কর্মী এক দম্পতিকে প্রতারনা করার অভিযোগ উঠলো এক তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের চৈতন্যপুর ১ নম্বর অঞ্চলের।অভিযুক্ত এই নেতার বিরুদ্ধে দলের সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে এই তৃণমুল সমির্থক পরিবার।
জানা গেছে পাঁশকুড়া ব্লকের চৈতন্যপুর ১ নম্বর অঞ্চলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতৃত্ব শেখ মুসা। সংখ্যালঘু এই নেতা ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবিকে লোন পাইয়ে দেওযার নামে দু লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা শেখ সাহানাজ ও তার বাবা জাহাঙ্গির আলি।
পাঁশকুড়ার কালই বাজারে শেখ মুসা ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবির একটি জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, সেই ব্যবসা বাড়ানোর জন্য রোজিনা বিবিকে লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় শেখ জাহাঙ্গীর আলি।অভিযোগ জাহাঙ্গীর আলি কয়েক দফায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার বেশি টাকা নিয়েছে রোজিনা ও তাঁর স্বামীর থেকে।
শেখ মুসা ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবির অভিযোগ, দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেই লোনের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা করেননি ওই তৃণমূল নেতা। উল্টে টাকা চাইতে গেলে মুসা ও রোজিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রোজিনা ও তাঁর স্বামী পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। চিঠি দিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়াকেও।
তাঁদের দাবি, এ বিষয়ে প্রশাসন এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, তবে তাঁরা চান দলগতভাবে ওই দুই তৃণমুল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন অভিষেক।
এ বিষয়ে শেখ জাহাঙ্গীর আলির ছেলে তথা এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সেখ সাহানাজ বলেন,যে অভিযোগ করেছে তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে আমার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এটা করা হচ্ছে। আমি যাতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাই সে কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি থানাকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করুন। যদি আমি দোষী হই তাহলে যে শাস্তি আমাকে দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।