রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী জন্মদিন উৎসাথের সাথে পালিত হল হলদিয়াতে। ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের জন্ম ১৮৯১ সালের ২৪ ডিসেম্বর।আর প্রয়াত হয়েছ ১৯৮৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর।
স্বাধীন ভারতে ১৯৪৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়ে প্রশাসন-কার্যের উৎকর্ষে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, দুর্নীতি দমনের চেষ্টা এবং দুর্নীতি রোধে অর্ডন্যান্স জারি করেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারের ব্যাপক পরিকল্পনা এবং দু-বছরের মধ্যে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষারূপে পশ্চিমবঙ্গে প্রবর্তিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ডক্টর ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত বাড়বাসুদেবপুর গ্রামে প্রায় ৮৪ একর জায়গা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্পের পরীক্ষামূলকভাবেই কাজ শুরু করেছিলেন । হলদিয়া তার আবাস বাড়ীতেই এসেছিলেন বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তার হাত ধরেই হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি চিকিৎসা কেন্দ্রের গবেষণার উদ্বোধন হয়েছিল। হলদিয়াকে বিশ্বের দরবারে প্রথম চিনেছিলেন ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ।
ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ স্মারক কমিটির উদ্যোগে হলদিয়া বন্দর পত্রিকার ব্যবস্থাপনায় শনিবার তার জন্মদিন পালিত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ১৩১টি প্রদীপ প্রজ্বলন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে এর সূচনা হয় । ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ এর ১৩১ তম জন্মদিনে ৫০ পাউন্ড কেটে পালিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাধন জানা হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় দাস। পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আলোক রঞ্জন দাস , বিবেকা আত্মারনন্দ জি মহারাজ (বিবেক মহারাজ)।
বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রদীপ বিজলী,স্মারক কমিটির আহ্বায়ক দুর্গা পদ মিশ্র বলেন ভারতবর্ষের সত্যাগ্রহ আন্দোলনের স্বাধীনতার সংগ্রামী বিজ্ঞান কর্মী ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ তার জন্মদিন পালন করতে পেরে আমরা ধন্য। হলদিয়াতে বহু উন্নয়নমূলক জনমুখী প্রকল্পগুলি তিনি বাস্তবায়িত করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। হলদিয়াকে উন্নতর হলদিয়া করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শিক্ষা ব্যবস্থা বিজ্ঞান আন্দোলনকে আরো প্রসারিত করার জন্য হলদিয়ার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে সাইকেল নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে মেধা অন্বেষণের জন্য তৎপর হয়েছিলেন সেই মহান ব্যক্তির কয়েক জায়গা পড়ে রয়েছে আমাদের তিনটি দাবি মহামান্য সরকার বাহাদুরের কাছে ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন করেছি। ওই জায়গাটির উপর বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা অথবা রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি থাকতেন সেই জায়গাটিকে হেরিটেজ (সংরক্ষণ) ঘোষণা করা ওই জায়গার উপরে তার পূর্ণাঙ্গ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং বালুঘাটা থেকে কুকড়াহাটি পর্যন্ত তার নামে রাস্তার নামকরণের আমাদের দাবি। নতুন প্রজন্মের কাছে ডঃ প্রফুল্ল ঘোষ কে ছিলেন জানানোর জন্যই আমরা অঙ্কন প্রতিযোগিতা ছাড়া প্রতিযোগিতা প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা এবং কুইজ প্রতিযোগিতা আমরা করেছিলাম ডঃ ঘোষের উপরেই একটি কুইজের বইও আমরা প্রকাশ করেছি। আগামী দিনে জীবন পঞ্জিকা বই আকারে আমরা প্রকাশ করে এলাকার স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের হাতে আমরা তুলে দেবো।