৭৫ বছরের বঞ্চনার অবসান হল নতুন
ইংরেজি ২০২৩ এর প্রথম রাতে ।রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং শাসক দল তৃনমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুনাল ঘোষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যেন নতুন বছরের উপহার পেল বিষ্ণুরামচক ও সাওতানচক গ্রামের বাসিন্দারা।নতুন বছরের শুরুর দিনটিকে জীবনের মাইলস্টোন হিসাবে, ‘আঁধার ঘোচানোর সন্ধে’ হিসাবে দাগিয়ে রাখতেই পারেন তাঁরা।
গত ৪ ডিসেম্বর হলদিয়ায় চায়ের আড্ডা থেকে পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সাওতানচক এই দুই গ্রামে বিদ্যুৎ নেই জেনে কুণালবাবু গিয়ে পৌঁচেছিলেন বঞ্চিত মানুষগুলোর সামনে।তারপর বিদ্যুৎহীন দুই গ্রামবাসীর করুণ দশার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। এরপর বিদ্যুৎ মন্ত্রীর নির্দেশে দফতরের শীর্ষ কর্তারা দুই দফায় সেখানে গিয়েছিলেন। বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিলেন।
আবেদনপত্র গ্রহণ পর্ব শেষে শুরু হয় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। ৩৫০টি বিদ্যুতের খুঁটি-সহ ২২টি ট্রান্সফরমার বসিয়ে তিন কোটি টাকা খরচে দেওয়া হয় সংযোগ। তারপর মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে নতুন বছরের প্রথম দিনেই আলো জ্বলল সাওতানচকে।
আনন্দের মধ্যেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন বর্তমান বিজেপি নেতা তথা একদা এলাকার তৃনমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীও ২০১২ সালে গ্রামবাসীদের সাদা কাগজ দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এই তো বিদ্যুৎ এল বলে।’ কিন্তু সেই আশ্বাসে কাজ হয়নি,সেই কাগজ ভেসে গিয়েছে হলদি নদীর জলে। বারবার বাম নেতারাও কথা দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ আনার ।সেই কথাও থাকেনি।
ট্রান্সফরমাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটিয়ে প্রথম অরবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে যেই না আলো জ্বলল, আট থেকে আশি সবার সে কী উল্লাস! কারও চোখে আনন্দাশ্রু। আতসবাজি ফাটিয়ে, ঢাক বাজিয়ে চলল লাড্ডু বিলি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্লোগান চললো দফায় দফায়।
কুণাল ঘোষ এদিন বলেন শুভেন্দু অধিকারীরা শুধু আশ্বাস দিয়ে দায় সেরেছে।বলেছেন, ‘‘উনি কথা দিলেও কথা রাখেননি। আক্রমন করেছেন তমলুকের বর্তমান সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ।কুনাল বাবুর অভিযোগ উনিও কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিথ্যাচার করে গিয়েছেন। কেউ কেউ আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আমাদের কাজে বাধা দিয়েছেন। মানুষ বুঝে নিয়েছেন কারা প্রকৃত কথা রাখতে সক্ষম। একটা নতুন ইতিহাস রচিত হল। এই ঘটনার সাথী হতে পেরে আমি গর্বিত। এর জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ বিদ্যুৎ দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের।