নন্দীগ্রামে শহিদদের রক্ত দিয়ে নিজের রাজনৈতিককেরিয়ার গড়েছেন শুভেন্দু। তাই তাঁর জমি আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কোনও অধিকার নেই।নন্দীগ্রাম দিবস শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমন শানালেন তৃনমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ।
১৬ বছর আগে ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারির সকালে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের ভাঙাভেড়া ব্রিজের কাছে প্রথম বার জমি আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালনার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন শাসক দল সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনির বিরুদ্ধে। গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ভরত মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি এবং শেখ সেলিম। তার পর প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করছে ‘নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’। উল্লেখ্য কমিটির ব্যানারে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলন হলেও মুলত নেতৃত্বে ছিলো তৃনমূল নেতারাই।
শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হাড় হিম করা ঠান্ডা উপেক্ষা করেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী অখিল গিরি,যুব তৃনমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা ভাঙাবেড়া এলাকাজুড়ে মোমবাতি মিছিল কতে। শহিদ বেদিতে মাল্যদানও করা হয়।
শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করে কুণাল ঘোষ বলেন নন্দীগ্রামে শহিদদের রক্ত দিয়ে কেরিয়ার গড়েছেন শুভেন্দু। তাই তাঁর শ্রদ্ধা জানানোর কোনও অধিকার নেই।অভিযোগ করেছেন সিপিএমের মত শুভেন্দু ও তার দল বিজেপি তৃনমূল কর্মদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। হুশিয়ারী দিয়ে বলেন বেইমান, গদ্দার শুভেন্দু সিবিআই, এনআইএ দেখিয়ে নিরাপরাধ তৃণমূল কর্মীদের, নিরাপরাধ নন্দীগ্রামবাসীকে জেলে ভরছে। ভগবান, আল্লাহ থাকলে একদিন কলার ধরে শুভেন্দুকে জেলে ভরব।
একই সাথে কুনাল ঘোষ বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রতিশ্রুতি রাখতে জানে ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি মত খুব শীঘ্রই হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম সংযোগকারী সেতু তৈরি হবে।